পঞ্চায়েত নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের এলাকার বাইরে ভোটের কাজে যাওয়া কর্মীরা ভোট দিতে পারছেন না। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভোটের কাজে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাতায়াতকারী ভোটকর্মী, পুলিশ, হোমগার্ড, এনভিএফ। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “পঞ্চায়েত এবং পুরসভার ভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। যাঁরা জলাপাইগুড়িতে ভোটের যুক্ত, তাঁরা জলপাইগুড়ি বিডিও অফিসে নির্বাচনী কার্যালয়ে ১৮-২১ জুলাই ভোট দিতে পারবেন। যাঁরা বাইরে ভোটের কাজে গিয়েছেন, তাঁদের ভোট দেওয়ার জন্যে কোনও বিকল্প ব্যবস্থা আমার কাছে নেই।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি জেলা থেকে দক্ষিণ বঙ্গে নির্বাচনের কাজে গিয়েছেন ৩৫০ জন হোমগার্ড, ৬৯ জন এনভিএফ এবং ৮১৪ জন রাজ্য পুলিশকর্মী। মোট ১২৩৩ জন। ৪ দফায় নির্বাচন শেষ হলে উত্তরবঙ্গে ফিরবেন ২৫ জুলাই। সে দিন উত্তর বঙ্গের চারটি জেলায় নির্বাচন। ভোটের দিন পৌঁছনোয় কাজের ফাঁকে ভোট দেওয়ার উপায়ও তাঁদের থাকবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “ভোটকর্মীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হবে কেন? নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। ভোটের কাজে নিযুক্ত সকলের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।” সিপিএম জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “ব্যাপারটা জানতাম না। কমিশনকে জানাব।” কংগ্রেসের জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি মোহন বসু এক ধাপ এগিয়ে ভোটকর্মীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন বলে জানান। ফরওর্য়াড ব্লকের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রবাল রাহা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহমের অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন। |