কামদুনির আন্দোলনরত শিক্ষকের শাস্তি অনিবার্য। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে সাংবাদিকদের কাছে আবারও তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বুধবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জের একটি হোটেলে তিনি যখন এ কথা বলছেন তখন তাঁর পাশে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু এ দিন সন্ধেয় এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মানিকবাবুর মন্তব্য: “এমন কোনও কথাই আমি বলিনি।” ব্রাত্যবাবও জানান, মানিকবাবু কী বলেছেন তা তাঁর জানা নেই। |
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন মুর্শিদাবাদে মানিকবাবু বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছেস্কুলের সময়ে কোনও শিশুকে নিয়ে মিছিল করা যাবে না। কামদুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় সেটাই করেছেন। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে স্কুলের পোশাক পড়িয়ে মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা সংবাদপত্রে দেখে তার কাছে ওই ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি তার ব্যাখ্যা দিলে ঠিক ছিল। কিন্তু সংসদের কাছে লেখা চিঠিতে ওই শিক্ষক মিথ্যাচার করেছেন। ক্ষমতাসীন দলের শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি বলে তিনি জানান। প্রথমত এটা মিথ্যাচার। তিনি তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের আদৌ সভাপতি নন। আর যদি তা হয়েও থাকতেন, তাতে সরকারি কর্তাদের কাছে তা লিখে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন? সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ কথা জাহির করে তিনি ক্ষমতার হুমকি দিচ্ছেন? কোনও মতে এটা বরদাস্ত করা হবে না।” শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন মানিকবাবু। তিনি বলেন, “এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র ফাইলবন্দি করে সমস্ত বিষয়টিকে বিচার করে দেখা হচ্ছে। কোনও মতেই আইন না মেনে পার পাবেন না কামদুনির ওই মিথ্যাচারি শিক্ষক। রাজ্য সরকারও বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেয়নি।”
|