অ্যাসেজের প্রথম টেস্টে ক্রিকেট ছাপিয়ে উঠে এসেছিল ডিআরএস বিতর্ক। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট-ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগেও ক্রিকেট আবার ব্যাকফুটে। বিতর্ক এ বার অস্ট্রেলীয় অন্দরমহলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে।
লর্ডস টেস্ট শুরুর আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটমহল জুড়ে ছিল একটাই আলোচনা। অপসারিত অজি কোচ মিকি আর্থারের ফাঁস হয়ে যাওয়া বয়ান। যেখানে তিনি বলেছেন মাইকেল ক্লার্ক এবং শেন ওয়াটসনের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ ছিল। যে বয়ান মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আর্থার “অত্যন্ত হতাশ” হলেও যার প্রভাবের গুরুত্ব একটুও কমেনি। বরং অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ক্লার্ককে খানিকটা বিবৃতির ঢঙেই বলতে হয়েছে, “আমাদের টিম দারুণ জায়গায় রয়েছে। আগেকার যে কোনও অজি টিমের মতোই দলবদ্ধ এই টিম। আমাদের সবার ফোকাস বৃহস্পতিবার থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্টের উপর।” |
অ্যালিস্টার কুক। এগিয়ে থাকার শরীরী ভাষা সাংবাদিক সম্মেলনেও। |
অজি শিবির যতই ব্যাপারটাকে হাল্কা করে পেশ করতে চান, দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা আগে বেশির ভাগ শিরোনামে এই একটা ঘটনাই উঠে এসেছে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক-কেও ব্যাপারটা নিয়ে মন্তব্য করতে হয়েছে। ড্রেসিংরুমে অশান্তি ইংরেজ শিবিরেও নতুন কিছু নয়। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ চলাকালীন যেমন এসএমএস-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কেভিন পিটারসেন। যে প্রসঙ্গে কুক এ দিন বলেছেন, “গত বছর আমাদের অভিজ্ঞতা একেবারেই ভাল ছিল না। এটা থেকেই বোঝা যায়, দলে একতা আনতে কতটা খাটতে হয়। কারণ সবাই এককাট্টা হয়ে খেলতে পারলে তাতে ক্রিকেটেরই উন্নতি হয়। আমরা সমানে এটা নিয়ে খেটে যাই।”
যে কারণে দলের একতা নিয়ে অস্ট্রেলীয়দের খাটনি দুগুণ বেড়ে গেল, আর্থারের সেই বয়ান ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে এ দিন বিবৃতি দিয়েছেন প্রাক্তন অজি কোচ। “এই ব্যাপারগুলো আমি গোপন রেখেছিলাম কারণ এগুলো খুবই স্পর্শকাতর। সেগুলো এ ভাবে প্রকাশ্যে চলে আসা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমার কাছে অস্ট্রেলিয়া টিমের স্বার্থ এখনও খুব গুরুত্বপূর্ণ।” ‘আর্থার এফেক্ট’ কাটিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে ক্লার্ক-বাহিনী ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই দেখার।
|