যুযুধান ভাই-বোনেরা, লড়াই ঢুকেছে হেঁশেলে
রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় • কলকাতা |
বাড়ির ব্যবসা এক সঙ্গেই দেখাশোনা করেন দুই ভাই। পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা হলে এখনও আয়াস করে সুখ-দুঃখের গল্প করেন দুই বোন। তাঁরাই এ বার মুখোমুখি পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে। হাওড়া জেলার দুই প্রান্তে জমে উঠেছে দুই ভাই ও দুই বোনের লড়াই। হাওড়ার জগত্বল্লভপুর ১ পঞ্চায়েতের চাঁদুল গ্রামে এ বার তৃণমূল প্রার্থী আবদুল হালিম ওরফে নাদো। ওই গ্রামেই সিপিআইয়ের হয়ে লড়ছেন তাঁরই নিজের ভাই আবদুল সেলিম ওরফে ময়না। জগত্বল্লভপুর ১ পঞ্চায়েতে এর আগে ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। ২০০৮ সালে এই আসনে সিপিএম প্রার্থী তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন মাত্র ৭ ভোটে। লড়াই রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি। হালিমের দাবি, “সিপিএমের পঞ্চায়েত থাকা সত্ত্বেও এলাকায় কোনও কাজ করেনি। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা বিধায়ক ও সাংসদ কোটা থেকে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করিয়েছি।” সেলিমের পাল্টা দাবি, “এখানে উন্নয়নের সব কাজ আমরাই করেছি। তৃণমূল প্রচারে গিয়ে মিথ্যে কথা বলছে।” ভোটের প্রচারের পাশাপাশি দু’ভাইয়ের ব্যবসা চলছে পুরনো চালেই।পাঁচলায় জুজারসাহা পঞ্চায়েতের কুলডাঙা গ্রামে জমে উঠেছে দুই বোনের লড়াই। দু’জনেই বিবাহিতা। হাতা-খুন্তি ফেলে এ বার তাঁরা ভোটের ময়দানে। মঙ্গলা মাজি লড়ছেন তৃণমূলের টিকিটে। অঞ্জলি পল্যে সিপিএমের টিকিটে। প্রতীক আলাদা হলেও একটি বিষয়ে কিন্তু তাঁদের মধ্যে বেশ মিল। স্বামীর কথাতেই ভোটে দাঁড়ানো, বলছেন মঙ্গলাদেবী ও অঞ্জলিদেবী। ভোটের ফল যেমনই হোক, বাড়ির লোকজনের একটাই দাবি, ঘরের শান্তিটুকু যেন নষ্ট না হয়।
|
বালিতে পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে বচসা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালি |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাধল বালির দুর্গাপুর-অভয়নগর ২ নং পঞ্চায়েত এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই পঞ্চায়েত এলাকার কালিতলায় তৃণমূলের একটি নির্বাচনী জনসভা ছিল। অভিযোগ, সভা শেষ হওয়ার পরেই রাত ১১টা নাগাদ কয়েকজন যুবক এসে ওই পোস্টারগুলি ছিঁড়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে বাইরে বেরিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসে নিশিন্দা থানার পুলিশ। এরপরই মঙ্গলবার ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ওই এলাকায় সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা বাধে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় শুরু হয় পুলিশি টহল। সিপিএম পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
|
বধূর মৃত্যু, ধৃত স্বামী-সহ ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
বধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে। সোমবার রাতে গোঘাটের লালুকা গ্রামে সূচনা ঘোষ (২৬) নামে ওই বধূর ঝুলন্ত দেহ মেলে। বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে সূচনার স্বামী দেবীপ্রসাদ ঘোষ, শ্বশুর রসময় এবং শ্বাশুড়ি আরতি। পুলিশ জানায়, বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল সূচনার। বিয়ের সময়ে পণের দাবি মেটানো হলেও পরে নানা অজুহাতে টাকা চাইত দেবীপ্রসাদের বাড়ির লোকজন। মারধর করা হত। সূচনার আত্মীয় সূরজ মণ্ডল বলেন, “ঘটনার দিন সকাল থেকেই মেয়েকে মারধর চলছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান।
|
ভদ্রেশ্বরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর |
ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ভদ্রেশ্বরের আরবিএস রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রামনারায়ণ সিংহ (৬০)। তাঁর বাড়ি ভদ্রেশ্বরের অ্যাঙ্গাস এলাকায়। পুলিশ জানায়, এ দিন রামনারায়ণবাবু সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তখনই একটি ট্রাক্টর তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।আমতায় শুভেন্দু। মঙ্গলবার আমতায় এক জনসভায় হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি দেন তিনি। পাশাপাশি বাম জমানার সমালোচনাও করেন। |