ভিড় হয়নি ব্রাত্য’র জনসভায়
ধানের চারা বোনা ও পাট কাটার মরশুমে বিকেলে জনসভার আয়োজন করে সোমবার অস্বস্তিতে পড়তে হল ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বকে। কারণ, শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সভায় তেমন ভিড় হল না। ময়নাগুড়ি কেকাতুলি ফুটবল মাঠে বিকেল ৩টেয় ওই জনসভার আয়োজন করা হয়। বিকেল চারটের পরেও সেখানে হাজির ছিলেন শপাঁচেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। এ ছাড়াও স্কুল ছুটির পরে কিছু কচিকাচা ভিড় করেছে। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ মঞ্চে দাড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রবল রোদে বহু লোক আসেননি। যাঁরা এসেছেন তাঁরা কাজ ফেলে এসেছেন।”
বিকলে তিনটে নাগাদ শিক্ষামন্ত্রী পৌঁছন সভাস্থলে। মাঠে তখন সামান্য সংখ্যক দলীয় কর্মী-সমর্থক জড়ো হন। শিক্ষামন্ত্রী স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে কারণ জানতে চান। স্থানীয় নেতারা মন্ত্রীকে গ্রামে কাজের মরশুমের কথা জানান এবং আশ্বস্ত করেন কয়েকটি মিছিল আসছে। এর পরেই পর পর দুটি ছোট মিছিল মাঠে ঢোকে। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের জন্য উত্তরবঙ্গেও গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ দখলের আহ্বান জানান। দলের ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন, “গ্রামে চাষের মরশুমে বিকেলে সভা করা যায় না।”
ময়নাগুড়ির জনসভায় ব্রাত্য বসু। সোমবার দীপঙ্কর ঘটকের তোলা ছবি।
অবশ্য ধূপগুড়িতে শালবাড়ি হাই স্কুলের মাঠে শিক্ষামন্ত্রীর সভায় বেশ ভিড় ছিল। সভায় রাজ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন। তাঁর কথায়, “জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি, ফালাকাটা ও বানারহাটে কলেজ তৈরি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি জেলার ৫৪টি মাধ্যমিক স্কুল উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়েছে।” এদিন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে শিক্ষা এবং যোগাযোগের পরিকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দেন দুই মন্ত্রী। রাজগঞ্জের ভোলাপাড়া গ্রামের ওই সভায় ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি গ্রামে বাসিন্দাদের সর্তক করে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা স্তরে জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে না থাকলে রাজ্য সরকার গ্রামের উন্নয়ন করার সুযোগ পাবে নাসভার শুরুতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী গৌতমবাবুও শিক্ষা এবং যোগাযোগের পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং আগামী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। গৌতমবাবু বলেন, “রাজগঞ্জে কলেজ হয়েছে। জেলায় প্রথম হিন্দি কলেজ হতে চলেছে। স্কুলের সংখ্যা বেড়েছে। এ সবই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হয়েছে। পাশাপাশি গত দু বছরে জলপাইগুড়ি জেলায় অন্তত ১৫০ কিলোমিটার নতুন রাস্তা হয়েছে। এই রাস্তাগুলি সবই গ্রামে হয়েছে। পরে গ্রামে রাস্তা তৈরি করতে আরও ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।”
তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজগঞ্জের ভোলাপাড়া গ্রামে এদিনের জনসভাই দলের তরফে প্রথম বড়মাপের জনসভা। সংখ্যালঘু অধুষিত এলাকায় এদিনের সভা শুরু হতে সন্ধ্যে গড়িয়ে যায়। রমজান মাস চলায়, ইফতারের সময় হয়ে যায়। দলের তরফে তড়িঘড়ি সভার মাঠে ইফতাহারের আয়োজন করা হয়। মুড়ি, চিঁড়ে সহ অন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ইফতার চলায় সভা কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.