|
|
|
|
বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে অবরোধের হুমকি গৌতমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাসনাবাদ |
“গ্রামের সাধারণ মানুষকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী ভোট দিতে দেবে না, সিপিএম কি তা কেবল বসে বসে দেখবে? প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তা হলে ট্রেন, বাস আটকে প্রতিবাদ করা হবে। সেজন্য ইতিমধ্যে ২০-২৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হয়েছে। গুলি, লাঠি চালালেও কেউ সরবে না।” সোমবার বিকেলে পুলিশ পাহারায় মিছিল করে গিয়ে হাসনাবাদের ভবানীপুর-২ নং পঞ্চায়েতের মডেল বাজারে এই কথাই বলেন সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক গৌতম দেব।
এ দিন ভবানীপুরের রাস্তায় তৃণমূল ছাড়া অন্য দলের একটি পতাকাও দেখা যায়নি। সিপিএমের সভা থাকলেও রাস্তায় তাঁদের দলের কোনও পতাকা বা ফেস্টুন দেখা যায়নি। মঞ্চে শুধু কয়েকটি সিপিএমের পতাকা লাগানো ছিল। বাইরে থেকে প্রচুর লোক এলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশেষ কাউকে সভায় যেতে দেখা যায়নি।
এক সময়ের রাজনৈতিক দুর্গে কেন এই অবস্থা সিপিএমের? স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এক সময়ের সিপিএম তথা বর্তমানে তৃণমূল নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টারের দাপটই এর প্রধান কারণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চারধারে নদী ঘেরা ভবানীপুর-১ ও ২, সেহেরা, রাধানগর এবং কালিনগর-এই চারটি পঞ্চায়েতের মানুষের চাহিদা ছিল আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল, সেতু ও চিকিত্সা ব্যবস্থার উন্নয়ন। কিন্তু দীর্ঘ বহু বছর ক্ষমতায় থাকলেও সিপিএম কোনও উন্নয়ন না করায় বাবু মাস্টারের পক্ষে যোগ দিয়েছেন দ্বীপভূমির ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
বাবু মাস্টারের উদ্দেশ্যে গৌতমবাবু বলেন, “বেশি দাদাগিরি করতে যাবেন না। ভাল ভাবে কাজ করুন। গণ্ডগোল করলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে টিভি ক্যামেরা নিয়ে সব প্রচার করা হবে। মনে করলে আমরা সব ঠাণ্ডা করে দিতে পারি। মমতা আর ২ বছর ৬ মাস ক্ষমতায় থাকবে। স্থানীয় মানুষের কাছে অনুরোধ, ভোটটা একটু শান্তিতে করতে দিন।”
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বাবু মাস্টার বলেন, “যখন সিপিএম করতাম তখন সমাজসেবী ছিলাম। এখন তৃণমূল করায় সমাজবিরোধী বলা হচ্ছে। সিপিএম কোনও উন্নয়ন না করে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বলেই এত মানুষ সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।” |
|
|
|
|
|