|
|
|
|
একাই প্রচার সুবোধের, এই প্রথম নির্বাচন বিমলের
সীমান্ত মৈত্র • গাইঘাটা |
একজন লড়ছেন জীবনের প্রথম নির্বাচন। পরিবার থেকে প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছেন। অন্যজন এই মাঠের ঝানু খেলোয়াড়। ভোটে জিতে পঞ্চায়েত প্রধানও হয়েছিলেন একবার।
ভোটারদের মন জয় করতে একলাই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ নম্বর আসনে সিপিএম প্রার্থী সুবোধ সরকার। এলাকায় তাঁর পরিচিতি দাঁতের চিকিত্সক হিসাবে। অন্যদিকে, ওই আসনে এবারই প্রথমবার তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন ৪৮ বছর বয়সী বিমল দেবনাথ। এলাকায় রাজনৈতিক কর্মীর চেয়েও তিনি বেশি পরিচিত ব্যবসায়ী হিসাবে। আলু-পেঁয়াজের ব্যবসা রয়েছে তাঁর।
অতীতে দু’বার নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন সুবোধবাবু। ২০০৩ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানও হয়েছিলেন। মাঝে ২০০৮ সালে প্রার্থী না হলেও এবারে ফের প্রার্থী হয়েছেন। সকাল-সন্ধ্যা একাই পায়ে হেঁটে একাধিকবার চষে ফেলছেন এলাকার প্রতিটি বাড়ি। ৫৮ বছর বয়সী সুবোধবাবুর কথায়, “এলাকার লোকজন আমাকে ভালবাসেন। তাঁরা আমাকে চান বলেই আমি নিজেই তাঁদের বাড়ি চলে যাচ্ছি।” কি বলছে দল? বনগাঁ-গাইঘাটা জোনাল কমিটির সম্পাদক রমেন আঢ্য বলেন, “এক-একটি আসনে চরিত্র এক এক রকম। আসনের চরিত্র বুঝে প্রার্থীদের প্রচারে নিজেদের মত কৌশল নিতে বলা হয়েছে।”
অন্যদিকে, জীবনের প্রথমবারের নির্বাচনেই বিপক্ষে হেভিওয়েট প্রার্থী চাঁদপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হলেও মোটেও ঘাবড়াচ্ছেন না বিমল দেবনাথ। তাঁর কথায়, “প্রাক্তন প্রধানকে হারাব, এটাই বাড়তি উত্সাহ দিচ্ছে আমাকে।” তাঁর এই আত্মবিশ্বাসের কারণ ২০০৮ সাল থেকে চাঁদপাড়া পঞ্চায়েত, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতি সবই তৃণমূলের দখলে। ভোট পরিচালনা কিভাবে করতে হয় শিখে নিয়েছেন ২০০৮ সালেই। ওই বছর স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর যাবতীয় দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। তবে প্রচারে সুবোধবাবুর মত একা একা নয়, সকাল-সন্ধ্যায় কর্মী সমর্থকদের নিয়েই প্রচারে যাচ্ছেন তিনি। প্রচারসূচি ঠিক করে দিচ্ছে দলই। প্রচারে শুধু ভোট চাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু বলছেন না। তাঁর হয়ে যা বলার বলছেন দলের নেতারাই।
শেষ হাসি হাসবেন কে? অভিজ্ঞ পোড়খাওয়া রাজনীতিক নাকি আনকোরা নতুন? বলবে জনগণই।
|
|
দাঁতের চিকিত্সা |
পেশা |
আলু-পেঁয়াজের ব্যবসা |
বিদেশি প্রজাতির
কুকুর পোষা |
নেশা |
সময় পেলেই
ঘুমিয়ে নেওয়া |
প্রাক্তন প্রধান
হওয়ার অভিজ্ঞতা |
প্লাস পয়েন্ট |
ব্যবসা সূত্রে
গ্রামে পরিচিতি |
জনসংযোগ কমে যাওয়া |
মাইনাস পয়েন্ট |
রাজনীতির লোক নন |
ব্যক্তিস্বার্থে
রাজনীতিতে এসেছে |
প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে |
কথা-কাজে
অনেক ফারাক |
মিশুকে নন |
লোকে বলে |
মাইকের সামনে স্বচ্ছন্দ নন |
|
|
|
|
|
|