বিয়ের পর কনেবাড়ি থেকে রবিবার গভীর রাতে বরের বাড়ি ফেরার পথে ভাগীরথীর জলে গাড়ি-সহ (টাটাসুমো) তলিয়ে যায় চালক। পুলিশ নদী থেকে গাড়িটি উদ্ধার করলেও সোমবার রাত পর্যন্ত পুলিশ ওই চালকের খোঁজ পায়নি। জিয়াগঞ্জ থানার আজিমগঞ্জের ঘাটের ওই ঘটনায় নিখোঁজ চালকের নাম দীপক দাস (৩৬)। তিনি বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাসিন্দা। ঘটনায় আর কারও ক্ষতি হয়নি। |
তখন চলছে উদ্ধারকাজ।—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ জানায়, আজিমগঞ্জ লাগোয়া বড়নগরে কনের বাড়ি। বরের বাড়ি বহরমপুরের বলরামপুরে। বিয়ের পর ৩টি গাড়িতে চেপে বর-কনে ও বরযাত্রীরা কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়ির পথে রওনা দেয়। খেয়া নৌকায় করে পার হওয়ার জন্য গাড়ি তিনটি আজিমগঞ্জের ঘাটের পাড়ে এসে দাঁড়ায়। তখন যাত্রীরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে যায়। ওই ঘাটের খেয়া পারাপারের দায়িত্বে রয়েছে ‘বোটম্যান সমবায় সমিতি’। ওই সমিতির সম্পাদক অজিত দাস বলেন, “বরযাত্রীরা নেমে গেলে গাড়িকে খেয়া নৌকায় তোলার জন্য চালক গাড়িটি র্স্টাট দেয়। গতি বেশি থাকায় নৌকা টপকে চালক-সহ গাড়িটি নদীতে তলিয়ে যায়।” পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্য দিকে, লালবাগের ইছাগঞ্জে ভাগীরথীর জলে তলিয়ে গেলেন দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। সদ্য প্রয়াত ঠাকুরমার অশৌচ পাালনের জন্য সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ স্নান করতে গিয়েছিল সে এ দিন রাত পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। ওই ছাত্রের নাম জ্যোর্তিময় দত্ত। তিনি সাঁতার জানতেন না। তাঁর মামা দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “আমার দিদি ও জ্যোর্তিময় দু’ জনেই তলিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় কয়েক জনের চেষ্টায় দিদি কোনও মতে প্রাণে বাঁচলেও জ্যোর্তিময়কে উদ্ধার করা যায়নি।” |