তাঁর প্রিয় শিষ্য চুনী গোস্বামীর হাতে ‘মোহনবাগানরত্ন’ উঠেছিল আট বছর আগেই। এ বার সবুজ-মেরুন তাঁবুর এই সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন চুনীর গুরু বলাইদাস চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার ক্লাব তাঁবুতে কার্যকরী সমিতির বৈঠকের পর বলাইদাসকে মরণোত্তর ‘মোহনবাগানরত্ন’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সচিব অঞ্জন মিত্র। আগামী ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসের দিন এই সম্মান গ্রহণের জন্য প্রয়াত বলাইদাসের পুত্র বীরেন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ক্লাবের তরফে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে।
১৯২০ থেকে টানা আট বছর মোহনবাগানে গোষ্ঠ পাল, উমাপতি কুমারদের সঙ্গে চুটিয়ে সেন্টার হাফে খেলেছেন বলাইদাস। খেলা ছাড়ার পর কোচিং এবং রেফারিং করেছেন সমানতালে। ১৯৪৮-এর লন্ডন অলিম্পিকে এবং ১৯৫১-৫২ মরসুমে ভারতীয় ফুটবল দলের দূরপ্রাচ্য সফরে তিনিই ছিলেন প্রধান কোচ। ওই দলের টি আও, শৈলেন মান্নারাও ‘মোহনবাগানরত্ন’ হয়েছেন তাঁর অনেক আগেই। ফুটবল ছাড়াও বক্সিং, অ্যাথলেটিক্স-সহ একাধিক খেলায় মোহনবাগানের প্রাণপুরুষ ছিলেন বলাইদাস।
এ দিন বলাইদাস চট্টোপাধ্যায়ের মোহনবাগানরত্ন হওয়ার খবর পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ‘শিষ্য’ চুনী গোস্বামী। বলেন, “বলাইবাবুর মতো উচ্চ ব্যক্তিত্ব এই সম্মান পাওয়ায় খুব আনন্দ হচ্ছে। আরও আগে তাঁর এই সম্মান পাওয়া উচিত ছিল।” ‘মোহনবাগানরত্ন’ ছাড়াও ২৯ জুলাই গত মরসুমের সেরা ফুটবলার হিসাবে ‘করুণাশঙ্কর ভট্টাচার্য’ পুরস্কার পাচ্ছেন ডেনসন দেবদাস। চলতি মরসুমে মোহনবাগান অধিনায়ক ওডাফা ওকোলি। বর্ষসেরা ক্রিকেটার শুভময় দাস। বৈঠকে ঠিক হয়েছে ক্লাব প্রেসিডেন্ট টুটু বসুর পিতা প্রয়াত গৌরসাধন বসুর নামে একটি ব্লক থাকবে নতুন গ্যালারিতে। এর জন্য গৌরসাধন বসু চ্যারিটেবল ট্রাস্ট থেকে ক্লাবকে ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। |