প্রত্যাশার চাপ তুঙ্গে। একে তিন বছর পর কলকাতায় ফেরা। তাও পুরনো ক্লাবের চিরশত্রু-শিবিরে! কিন্তু তাতে কী? সোমবার ইস্টবেঙ্গলের এ মরসুমের জাপানি মিডিও সুয়োকা রিউজি-র হুঙ্কার শুনে মনে হল, চাপ-টাপ তাঁর অভিধানে নেই। ক্লাব তাঁবুতে বসে সুয়োকা বলে দিলেন, “কলকাতার ক্লাবে খেললে তো বাড়তি চাপ থাকবেই। এখানে লক্ষ লক্ষ সমর্থকের অহরহ প্রত্যাশা, বড় ক্লাবের সম্মান কোনও কিছুই আমার অজানা নয়। সব জেনেশুনেই খেলতে এসেছি। তাই নিজের উপর কোনও চাপ নেই। ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ জেতানোই আমার একমাত্র লক্ষ্য।” |
শহরে নতুন অতিথিরা। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে সস্ত্রীক সুয়োকা। ছবি: উৎপল সরকার
|
লাল-হলুদ জার্সিতে নামার আগেই যেন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছেন ডেম্পো ফেরত সুয়োকা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলে পেন ওরজির যোগ্য উত্তরসূরি কি হতে পারবেন? “পেনকে ফুটবলার হিসেবে আমি দারুণ সম্মান করি। তবে দু’টো জিনিস বিশ্বাস করি। এক, কেউ অন্যের মতো হতে পারে না। দুই, কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। পেন নেই বলে ইস্টবেঙ্গলেরও কিছু আটকাবে না। আমাদের দলে মেহতাব, খাবড়ার মতো প্রতিভা আছে। চিডি, মোগার মতো স্ট্রাইকার আছে। ওপারার মতো ডিফেন্ডার আছে। একজোট হতে পারলে ট্রফি আসবেই,” বললেন নতুন ক্লাবে ১১ নম্বর জার্সি পাওয়া সুয়োকা। অতীতে সালগাওকরে থাকার সময় চিডির পাশে খেলেছেন সুয়োকা। যার মানে, ইস্টবেঙ্গলের এক নম্বর স্ট্রাইকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাব হওয়ার কথা নয় টিমের নতুন জাপানি মিডিওর।
ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান কোচ মার্কোস ফালোপার ক্লাস সরকারি ভাবে বুধবার শুরু হতে চললেও সুয়োকা অনুশীলনে নেমে পড়লেন সোমবারই। হালকা দৌড়লেন। কিছুক্ষণ জিমে কাটালেন। “গত মরসুমে প্রায় তিন মাস চোটের জন্য মাঠের বাইরে ছিলাম। এ বছর তাই শুরু থেকেই সব রকম ভাবে তৈরি থাকতে চাই। যাতে নতুন কোচ আমাকে যে পজিশনেই খেলান না কেন, কোনও অসুবিধা যেন না হয়। ভাল খেলার ব্যাপারে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী,” বললেন তিনি। শুধু কলকাতায় ফিরলেও সুয়োকা তাঁর এ শহরের পুরনো ক্লাব আর তাঁর প্রাক্তন কোচ নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি মোহনবাগান এবং করিম বেঞ্চারিফা! |