|
|
|
|
বিক্ষিপ্ত গোলমালে ভোট মিটল হুগলি জেলায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
সার্বিক ভাবে বড় কোনও গোলমাল না হলেও পঞ্চায়েত ভোটে দিনভর নানা বিক্ষিপ্ত হিংসার সাক্ষী রইল হুগলি। তার জেরে কয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পোলবা-দাদপুর ব্লকের কোমধারায় সিপিএম এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে মারপিট হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাফ নামে। দু’পক্ষের জনা দশেক আহত হন। তাঁদের মধ্যে এক জনের আঘাত বেশি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ফের সেখানে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অন্য একটি ঘটনায় দেবানন্দপুরে সমীর পাল নামে এক সিপিএম সমর্থককে তৃণমূলের লোকেরা বিনা প্ররোচনায় বেধড়ক মারে বলে অভিযোগ। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধনেখালির গুড়াপে ৩৩৭ নম্বর বুথে কংগ্রেস এজেন্টকে মারধর করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। |
|
কংগ্রেস ও সিপিএমের প্রহৃত দুই সমর্থক।—নিজস্ব চিত্র। |
জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, দলের রাজ্য সম্পাদক রাজকুমারি কেশরীকে ত্রিবেণীর একটি বুথের সামনে মারধর করে তৃণমূলের লোকেরা। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যায়। খানাকুল-২ ব্লকে মানিক মান্না নামে এক বিজেপি প্রার্থীর ভাইকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি স্বপন পালের অভিযোগ, “পুলিশ মানিককে উদ্ধার করলেও তৃণমূলের বাধায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।”
গৌরহাটি-১ পঞ্চায়েতে বিজেপি নেতা সুকুমার হাঁসদা প্রহৃত হন। তারকেশ্বরে কেশবচকের ৪ নম্বর বুথে সিপিএমের এজেন্টকে বের করে দিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বুথ জ্যাম করে বলে অভিযোগ। গুড়াপের ৩৩৭ বুথে একই অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। ধনেখালির বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম এবং ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। দলের নেতা সজল অধিকারীর অভিযোগ, “বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থীদের বুথ থেকে বের করে মারধর করা হয়।” বেলমুড়ি পঞ্চায়েতের চারটি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন লিবারেশন নেতৃত্ব। চণ্ডীতলার ভগবতীপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ করে সিপিএম। অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে যায়। ভগবতীপুরের ৮৪ নম্বর বুথে কংগ্রেস প্রক্সি ভোটের অভিযোগ তোলায় পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁপাডাঙার ১২৩ ও ১২৪ নম্বর বুথে সিপিএম ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলায় কমিশন সেখানেও পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, বিভিন্ন গোলমালে জড়িত অভিযোগে জেলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও অভিযোগই মানতে চাননি। জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের দাবি, “কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো গোলমাল হয়েছে ঠিকই। তাতে আমাদের কেউ জড়িত ছিল না।”
|
|
|
|
|
|