সুজনকে বিঁধলেন অভিষেক
জনতাকে লুঠে অ্যাকাউন্ট: মমতা
সিপিএম নেতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে বিতর্ক জিইয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, দ্বিতীয় দফা পঞ্চায়েত ভোটের দিনও বাগনানের সভায় তিনি বলেছেন, “বিমানবাবু (সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু) কোথায় পেলেন এই টাকা? তিনি তো ব্যবসা করেন না। চাকরিও করেন না।” তৃণমূল যুবার সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন বারুইপুরের চম্পাহাটিতে এক সভায় সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীর আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখার পক্ষে সওয়াল করেছেন।
হাওড়ার বাগনানে নবাসন ফুটবল মাঠে তৃণমূলের নির্বাচনী সভায় বিমানবাবুকে নিয়ে প্রশ্নের উত্তরও এ দিন মমতা দিয়েছেন নিজস্ব ভঙ্গিতেই। বলেছেন, “আসলে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে সিপিএমের। তদন্ত হলে জানা যাবে, দেশ-বিদেশের বহু অ্যাকাউন্টে সিপিএমের এই টাকা জমা আছে। টাকা রাখার আর জায়গা নেই। তাই এ বার নেতাদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে রাখছে।” জনতার টাকা লুঠ করেই সিপিএমের অ্যাকাউন্ট ভরেছে বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বেআইনি লগ্নি সংস্থার নামে তোলা টাকাও রয়েছে সেখানে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “আরও এক নেতার নামে কোটি কোটি টাকা আছে। তারও তথ্য আছে। দু’-এক দিনের মধ্যে সব জানা যাবে।” সব টাকা ফেরত দিতে হবে বলেও সিপিএমকে হুঁশিয়ায় করেছেন মমতা।
চম্পাহাটিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সুব্রত রায়
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএম ফের জানিয়েছে, যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে বিমানবাবুর ব্যক্তিগত টাকা ছিল না। জনতার টাকা ‘লুঠ’ করারও প্রশ্ন নেই। দলের কর্মীদের লেভি ও সংগৃহীত চাঁদার টাকা সেখানে জমা পড়ে। যার আবার অডিট হয়, তার ভিত্তিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে আয়কর জমা পড়ে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিমের পাল্টা কটাক্ষ, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় শব্দ চিট ফান্ড! যাদের শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে চিট ফান্ডের টাকায়, তারা এখন অন্যের অ্যাকাউন্ট নিয়ে হইচই করছে। চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তটা তো সরকার চেপেই গিয়েছে। এখন বিমান বসুর নাম করেই না হয় তদন্ত করুন! কার টাকা কোথায় গিয়েছে, বার করা হোক!” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “তৃণমূলের টাকা কোথায়, কী ভাবে আছে? তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, ছবি এঁকে পঞ্চায়েত ভোটের খরচ তুলবেন। কই ছবি তো এখন আঁকছেন না! তা হলে চলছে কী ভাবে? আসলে তৃণমূলের না খাতা, না বই, যা মমতা বলেন, তা-ই সই!”
অন্য দিকে, চম্পাহাটিতে অভিষেক বলেন, “সিপিএমের রাজ্যস্তরের দুই নেতার নামে ১৬ কোটি টাকা রয়েছে। সুজনবাবু জেলায় দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। ওঁর আর্থিক অবস্থার বিষয়টিও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।” প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব ও নিরুপম সেনকে কটাক্ষ করে যুবার এই নেতা বলেন, “ওই নেতারা হেরো। ওঁরা কোন অধিকারে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন?” পক্ষান্তরে তাঁর আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখা নিয়ে সুজনবাবুর মন্তব্য, “এত দিনেও তদন্ত শুরু করছেন না, সেটা আশ্চর্য লাগছে।” চম্পাহাটির সভায় উপস্থিত রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য মূল্যবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটেও ‘পরিবর্তনের’ ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.