ন্যাশনাল টেক্সটাইল কর্পোরেশন (এনটিসি)-এর বন্ধ কারখানার জমি রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাল তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস। সোদপুর এবং রিষড়ায় এনটিসি-র দুটি বন্ধ মিলে মোট ২০ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে সোদপুর কটন মিলে রয়েছে ৯ একর এবং রিষড়ার লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলে ১১ একর। দীর্ঘ দিন ধরে মিল দু’টি বন্ধ।
তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের প্রথম দাবি, বন্ধ মিল দু’টি খোলা হোক। তা না হলে মিলের জমি রাজ্যকে ফিরিয়ে দিক এনটিসি কর্তৃপক্ষ।” সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী এস কে রাওয়ের সঙ্গে দেখা করে শোভনদেববাবুরা তাঁদের এ দাবির কথা জানান।
এনটিসি পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে ঠিক হয়, হাওড়ার আরতি কটন মিলটি কর্তৃপক্ষ নিজেই চাঙ্গা করবে। পাশাপাশি সোদপুর এবং লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলকে পনুরুজ্জীবিত করা হবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। সেই মতো এস কে নিট নামে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে এনটিসি কর্তৃপক্ষ চুক্তিও স্বাক্ষর করে ২০০৮ সালে। কিন্তু ওই বেসরকারি সংস্থাটি মিল দু’টিকে চাঙ্গা করার করা ব্যপারে এক পাও এগোয়নি। চুক্তিতে ২০০৯ সালের মধ্যে মিল দু’টি চালু করার কথা বলা ছিল।
এনটিসি-র তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ মজুমদার অভিযোগ করেন, “ওই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর আরও প্রায় সাড়ে তিন বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু মিল দু’টি খোলার ব্যাপারে আর উদ্যোগী হননি এনটিসি কর্তৃপক্ষ।” বস্ত্রমন্ত্রীর কাছে পাট পর্ষদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন শোভনদেববাবুরা। তাঁর অভিযোগ, “সেস বাবদ ২০১২-’১৩ সালে কেন্দ্রের থেকে জুট বোর্ডের ৮০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা। সেখানে দেওয়া হয়েছে ৩৬ কোটি। ২০১৩-’১৪ সালেও একই পরিমাণ টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু এ যাবত্ পাওয়া গিয়েছে ১৫ কোটি।” বিদেশে পাটজাত পণ্য বিক্রির উপর সেস নেয় কেন্দ্র। দেশে পাটজাত পণ্যের বাজার বাড়াতে ওই সেসের টাকা পাওয়ার কথা পাট পর্ষদের। |