ভোটের প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হলেন বীরভূমের লোবার ‘কৃষিজমি রক্ষা কমিটি’র কয়েক জন নেতা ও সদস্য। সোমবার সকালে দুবরাজপুরের চণ্ডীপুর গ্রামের ওই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। হামলায় মাথা ফেটেছে মহম্মদ আনাস নামে কমিটির এক সদস্যের।
হামলায় জখম।
—নিজস্ব চিত্র।
|
কমিটির দুই শীর্ষ নেতা জয়দীপ মজুমদার ও ফেলারাম মণ্ডলকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই দুই নেতা অবশ্য গ্রেফতারি এড়াতে থানায় অভিযোগ জানাতে যাননি। কারণ, ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা ও পুলিশের উপরে হামলার মামলা চলছে। জখম মহম্মদ আনাসের স্ত্রী দুবরাজপুর থানায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরেনি। কমিটির সম্পাদক জয়দীপবাবু বলেন, “ঠিক কী ঘটেছে, তা স্থানীয় মানুষ জানেন। প্রশাসন ও মানুষের উপরে আস্থা রাখছি।”
জমির ন্যায্য দাম ও ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে খোলামুখ খনির জন্য বেসরকারি সংস্থার জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছে লোবার কৃষিজমি রক্ষা কমিটি। আটকে রাখা হয়েছে ওই সংস্থার মাটি কাটার যন্ত্র। সেই আন্দোলন টিঁকিয়ে রাখতে এ বার পঞ্চায়েত ভোটেও তারা সরাসরি লড়ছে। ১৪ আসনের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টিতে নির্দল প্রার্থী হিসেবে কমিটির লোকজন দাঁড়িয়েছেন। আর এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে শাসকদলের সঙ্গে কমিটির দূরত্ব আরও বেড়েছে। প্রচারে বেরোলেও গ্রেফতারি এড়াতে অবশ্য প্রার্থী হওয়ার ঝুঁকি নেননি জমি রক্ষা কমিটির মাথারা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন চণ্ডীপুর সংসদে কৃষিজমি রক্ষা কমিটির প্রার্থী রেকিবা বিবির হয়ে প্রচার চলছিল। জয়দীপবাবু ও ফেলারামবাবু ছাড়াও প্রচারে ছিলেন কমিটির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী শেখ কুতুবউদ্দিন, সদস্য আব্দুল কাদের ও মহম্মদ আনাস। কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের, শেখ কুতুবউদ্দিনদের অভিযোগ, “প্রচার সেরে সবে রাস্তায় উঠেছি। ঠিক তখনই একাধিক মোটরবাইকে এসে কয়েক জন তৃণমূল কর্মী আমাদের উপরে চড়াও হয়। কেন ভোটের প্রচার করছি, সেই আক্রোশে লাঠি দিয়ে আনাসের মাথা ফাটিয়ে দেয় ওরা।” তৃণমূলের পাল্টা দাবি, প্রচারের সময় মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে কমিটির এক সদস্য চোট পেয়েছেন। দলের দুবরাজপুর ব্লকের সভাপতি ভোলানাথ মিত্র বলেন, “ভোটে হারবে জেনেই কমিটির লোকেরা এখন নাটক শুরু করেছে।” |