রোল মডেল

নিজের সম্পর্কে কথা না বলাটাই ধোনির সেক্স অ্যাপিল
, মডেল/অভিনেত্রী
রেচেল হোয়াইট
ধোনির সঙ্গে রেচেলের প্রথম পরিচয় মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে। এর বেশ কয়েক মাস পরে ম্যাক ফোর টি আর এক্সাইড ব্যাটারির বিজ্ঞাপনে ধোনির সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।

শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা
ধোনি মিতভাষী। কখনও গলা তুলে কথা বলে না। শ্যুটিংয়ের সময় ওকে দেখেই বুঝি কী ভাবে কোনও ‘অ্যাটিটিউড’ না দেখিয়েই ‘কুল’ হওয়া যায়। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ধোনি কিন্তু কখনও ক্রিকেট নিয়ে গল্প করে না। বাইক ওর প্রাণ। তাই বাইক নিয়ে গল্প করতে শুনেছি ওকে। বাইক কেন, সাইকেল চাপতেও আমার বুক ধড়ফড় করে। আর আমার ভাগ্যটা ভাবুন ধোনির সঙ্গে দু’টো বিজ্ঞাপন করলাম আর দু’টোতেই আমাকে বাইকে চাপতে হয়েছিল! একটা বিজ্ঞাপনে তো আমাকে বাইকে চেপে ওর পিঠে ট্যাটু আঁকতে বলেন পরিচালক। শ্যুটিংয়ের দিন এক দিকে বাইক থেকে পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক, অন্য দিকে এক্সপ্রেশনও ঠিক রাখার টেনশন! ধোনি দেখি মাঝে মধ্যে টিপস দিচ্ছে। হয়তো বলেদিল: ‘এ দিকে তাকাও’।

কেন ভাল লাগে
তবে সব থেকে ভাল লেগেছিল ও যে ভাবে আমাকে আশ্বস্ত করেছিল। একটা বিজ্ঞাপনে তো বাইকটা দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। সেটা চাপতে অত ভয় পাইনি। কিন্তু যেই শুনি যে অন্য বিজ্ঞাপনে ধোনি বাইকটা চালাবে, আমি তো ভয়ে কাঁটা! আর সেই দেখে ধোনি বার বার বলে, ‘এতে ভয় পাওয়ার কী আছে? আমি তো আছি। দশ বা কুড়ি কিলোমিটার স্পিডে চালাব। এতে আবার কেউ ভয় পায় নাকি?’ সে যাত্রায় অবশ্য শ্যুটিংটা ঠিকঠাক হয়েছিল।
ধোনির সেক্স অ্যাপিলের রহস্য কী? সুপুরুষ চেহারা একটা কারণ। তা ছাড়া ও নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু বলে না। সেই জন্যই ওকে ঘিরে একটা বিস্ময় তৈরি হয়। একটা ‘ইনট্রিগ ফ্যাক্টর’ যাকে বলে। আর ওর মিষ্টি হাসি— ওটা আমার দারুণ লাগে।

অভিনয়ে নামা উচিত কি না
না সেটা আমার মনে হয় না।

বিরাটকে ভয়ও পাওয়া যায়, ভালও লাগা যায়
মডেল/অভিনেত্রী
বিরাট কোহলির সঙ্গে সিমরন কাজ করেছেন টোয়োটা গাড়ির বিজ্ঞাপনে। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই টিভির পর্দায় দেখা যাবে সেটি।

সিমরন কউর মুন্ডি
শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা
বিজ্ঞাপনটার পরিচালক ছিলেন শিমিত আমিন। শিমিত এর আগে ‘চক দে ইন্ডিয়া’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন। এটা বলতে পারি যে ক্রিকেটারদের আমার খুব পছন্দ, তাদের মধ্যে বিরাট অন্যতম। আমাদের বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে যে বিরাট আমাকে গাড়ি চালানো শেখাচ্ছে। পানভেলের ওখানে আমাদের শ্যুটিং হয়েছিল। শ্যুটিং চলাকালীন বিরাটকে ক্রিকেট নিয়ে কোনও কথা বলতে শুনিনি। শুধু শ্যুটিং নিয়েই ফোকাসড থাকত। খুব ভাল হোমওয়ার্ক করে এসেছিল বিরাট।
সত্যি বলতে কী মডেল হিসেবে আমাদের কাছে ক্যামেরা ফেস করাটা কোনও ব্যাপারই নয়। কিন্তু বিরাট তো সে রকম নয়। আমাকে বলেই ফেলে একবার, ‘কী ভাবে তোমরা ক্যামেরার সামনে এত সহজে অভিনয় করো?’ মনে আছে, বিরাটকে বলেছিলাম, ‘আরে চিন্তা কোরো না, জাস্ট চিল। তুমিও বেশ ভাল পারবে।’ আর ঠিক তাই হয়েছিল। বিজ্ঞাপনে ওর নিজের পার্সোনালিটি মাথায় রেখেই ওকে অভিনয় করতে হত। আর সেটা বিরাট খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই করেছিল। ওর টাইমিংটাও বেশ ভাল। আর অনেক ক্ষেত্রেই শটগুলো একটা বা দু’টো টেকেই ‘ওকে’ হয়ে যেত।

কেন ভাল লাগে
বিরাটের সেক্স অ্যাপিল হল ওর দু’টো চোখ। কী গভীরতা রয়েছে ওর চাউনিতে! এক দিন ওর সঙ্গে শু্যট করে বুঝেছি যে ওর ভিতরে একটা বৈপরীত্য রয়েছে। এক দিকে ও বেশ সহজেই বন্ধু হয়ে যেতে পারে। আবার ঠিক একসঙ্গে ওকে দেখে কেউ কেউ একটু ভয়ও পেতে পারে। আমি মনে করি বিরাটের মধ্যে একটা অদ্ভুত মিক্স আছে। ওকে একই সঙ্গে ভয়ও পাওয়া যায় আবার ভালও লাগা যায়। এটাই বিরাটের বিশেষত্ব।

অভিনয়ে নামা উচিত কি না
বিরাটের অভিনয় করা উচিত কি না এটা বলা শক্ত। তবে যদি কোনও চরিত্র একদম বিরাটের মতো হয়, তা হলে ও সেটার জন্য হয়তো মানানসই হবে।

ক্রিকেট হোক বা বিজ্ঞাপন, সচিন ওঁর সেরাটা দেন
অভিনেত্রী
অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় এবং সচিন তেন্ডুলকর একসঙ্গে প্রদীপ সরকারের পরিচালনায় সহারা কিউ শপের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন।

অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়
শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা
খেলার মাঠে সচিন যেমন নিজের সব কিছু দিয়ে চেষ্টা করেন, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও একদম তাই। আমাদের বিজ্ঞাপনটা শু্যট করেছিলেন প্রদীপ সরকার। শ্যুটিংয়ে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, যেহেতু উনি সচিন, তাই ওঁর সঙ্গে অনেক লোকজন আসবেন ফ্লোরে। কিন্তু সে রকম কিছুই দেখিনি। সচিনের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। উনি পুরোদস্তুর পেশাদার। আর খুব ব্যালেন্সড।
সচিন প্রোডাকশন-ফ্রেন্ডলি। শটের মধ্যে কখনও মেক আপ ভ্যানে গিয়ে বসে থাকতে দেখিনি ওঁকে। সেটা করলে অনেক ক্ষেত্রে সময় নষ্ট হয়। আর যাতে সেটা না হয়, সচিনের সে বিষয়ে লক্ষ ছিল। কোনও শটের পরে ওঁকে দেখিনি যে মনিটরে গিয়ে নিজেকে দেখতে। সচিন পুরোপুরি পরিচালকের উপর নির্ভরশীল। দাদা (প্রদীপ সরকার) যেটা ঠিক মনে করেছেন তার উপর ওঁকে কোনও দিন কথা বলতে দেখিনি।

কেন ভাল লাগে
এক দিন দেখেছিলাম শ্যুটিং ফ্লোরের একটা কোনায় উনি দাঁড়িয়ে। আমি সেটা দেখে প্রোডাকশনের একজনকে বলি ওঁকে একটা চেয়ার এনে দিতে। কিন্তু সচিনের এ সব নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই ছিল না। দাদা অনেক বার শট নিয়ে থাকেন। যত ক্ষণ না দাদার পছন্দমতো শট হচ্ছে, উনি ‘ওকে’ করেন না। এ নিয়ে ওঁকে কখনও কিছু বলতে শুনিনি। হয়তো ওঁর দোষ নয়, তবু রিটেক করতে হচ্ছে। সচিনের তাতে কোনও আপত্তি নেই। ওঁর এ ভাবে কাজ করার মানসিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছিল।

অভিনয়ে নামা উচিত কি না
এ ব্যাপারে বলব যে বিজ্ঞাপনে সচিনকে দেখে কখনও একজন অভিনেতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। সেলিব্রিটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গেলে আমরা কোনও তারকাকে একজন সত্যিকারের ক্রিকেটারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি নাকি? ঠিক সে ভাবেই সচিনকে আমরা কখনও একজন দক্ষ অভিনেতার সঙ্গে তুলনা করতে পারি না। কোনও ছবিতে সচিনকে ওঁর নিজের ভূমিকায় দেখা গেলে তাতে ওঁকে মানাবে। কিন্তু পূর্ণ দৈর্ঘ্যের একটা চরিত্র করার জন্য সচিনকে জোরাজুরি করার তো প্রয়োজন নেই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.