চ্যারিয়ট প্রথমে ছিল সাদামাটা ছিমছাম খোলা গাড়ি। টানত গাধাতে। সত্যি! এ তো সেই খ্রিস্ট পূর্ব ২০০০-এর ব্যাবিলনের কথা। ওদের সঙ্গে তখনও ঘোড়াদের দোস্তিই হয়নি। খ্রিস্ট পূর্ব ১৭০০ নাগাদ মিশরে যখন হেভি লড়াই-ঝগড়া চলছে, তখন রথগুলোয় ঘোড়া জুতে দিতেই সব যুদ্ধ ফটাফট জেতা হয়ে যেতে থাকল। তার পর মধ্য প্রাচ্য, পারস্য, গ্রিস, রোম, যে দেশ যত যুদ্ধুবাজ হয়েছে, রথের রমরমা, সাজ-আয়তন তত বেড়েছে। |
এক সময়, রোমে রথ ছোটানোর খেলা গ্ল্যাডিয়েটর-লড়াইয়ের থেকেও জনপ্রিয় ছিল! অলিম্পিকে চ্যারিয়ট রেস ঢুকেছিল খ্রিস্ট পূর্ব ৬৭০ সালে। দুদিন জুড়ে চলত চ্যারিয়ট ইভেন্ট। এক, দুই, তিন, চার: ঘোড়ার সংখ্যা অনুযায়ী হত আলাদা আলাদা রেস। রথের সুদিনের অনেক ছবি-খবর রয়েছে তখনকার গল্প-ছবিতে, আর ‘বেন হার’ সিনেমার চ্যারিয়ট রেস দৃশ্যে। জেরুজালেমের একটা সার্কাসের আদলে সেট সাজিয়েছিলেন হলিউডিরা। শুটিং, ঘোড়া, যোদ্ধাদের ট্রেনিং ছাড়ো, সেট-প্ল্যানিংয়েই লেগেছিল পুরো এক বছর! তা হলে, চ্যারিয়টের কারবারটা কেমন এলাহি ছিল, সেটা বুঝলে?
রথের মতো দেখাচ্ছেই না, তাই তো? কিন্তু রোমানরা এই দু’চাকার খোলা গাড়িই ব্যবহার করতেন প্রথমে। যুদ্ধ ছাড়াও খুবসে কম্পিটিশন হত এই চ্যারিয়ট-এ। কাঠে বানানো রথগুলো নাকি ভীষণ হালকা হত, যেন চাকার ওপর বেতের ঝুড়ি, হাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে! |