|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
কথাকলি চন্দনা |
প্রথম যে দিন বাড়িতে চন্দনা পাখিটা এসেছিল, সে দিন ভয় পেয়ে চুপচাপ ছিল। ভেবেছিলাম, ও বোবা। কিন্তু তার পর ধীরে ধীরে অনেক কথা বলতে শিখে গেল। এখন ও আমাদের বাড়ির সকলের নাম ধরে ডাকে। ওকে দেখতে ভারী সুন্দর। কচি কলাপাতা রঙের গায়ের পালক আর টকটকে লাল ঠোঁট এবং গলায় মোটা কালো দাগ। তাই ওর নাম ‘রাধেশ্যাম’! বড়দাদু ওকে দু’বেলা ছোলা ও ফল খেতে দেয়। পাঁউরুটি আর বিস্কুট রোজ না দিলেই মুখটি ভার! প্রতিদিন ভোরবেলা শিস দিয়ে ঘুম ভাঙায়। এখন তো কাক, চড়ুইয়ের ডাকও নকল করতে পারে। বৃষ্টিতে ভিজতে ও খুব ভালবাসে।
সৌরদীপ্তা পাল। পঞ্চম শ্রেণি, শ্রী শিক্ষায়াতন স্কুল |
|
|
পাহারাদার মা |
বাড়ির পাশে একটা ছোট টিনের চালা ঘর আছে, সেই ঘরে ঘুঁটে, কয়লা থাকে। কিছু দিন পরে দেখি, সেই চালা ঘরে সাদা মেনিটার তিনটে বাচ্চা হয়েছে। বাচ্চাগুলো মায়ের মতো ধবধবে সাদা। ঠাকুমা মা-বেড়ালটাকে ভাত, মাছের কাঁটা একটু দুধ মাখিয়ে খেতে দেয়। স্কুল থেকে এসেই বাচ্চাগুলোকে দেখি। ওরা মায়ের দুধ খায়। বাচ্চাগুলোর যাতে কেউ ক্ষতি করতে না পারে বেড়াল-মা সব সময় পাহারা দেয়।
রোশনী সাঁতরা। চতুর্থ শ্রেণি, ডি এ ভি পাবলিক স্কুল, আসানসোল |
|
|
সঙ্গীত অনুরাগী |
প্রতিদিন সকালে হারমনিয়াম নিয়ে চিলেকোঠার ছোট্ট ঘরে রেওয়াজ করি। ঠিক সেই সময় একটা কাঠবেড়ালি এসে গানের তালে তালে ‘চিড়িক চিড়িক’ আওয়াজ করে লেজ তুলে নাচতে থাকে। কখনও ঘুলঘুলিতে, কখনও জানলায় অথবা দরজার সামনে। যদি গানে একটুও ভুল হয়, তখন সে এত বিশ্রী ভাবে চেঁচাতে থাকে, যেন গানের মাস্টারমশাই আমাকে বকুনি দিচ্ছে।
বৃষ্টি চক্রবর্তী। চতুর্থ শ্রেণি, অগ্রসেন বালিকা শিক্ষা সদন, হাওড়া |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|