|
|
|
|
রাজস্থানে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার কাজ শুরু করল সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দ্বিমুখী রণকৌশল নিচ্ছে সিপিএম। এক দিকে তারা যেমন ভোটের পরে ফের কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়ার পথ খুলে রাখছে, তেমনই ভোটের আগে অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি শক্তিগুলিকে একজোট করে ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই কৌশলের অঙ্গ হিসেবেই মরুরাজ্য থেকে তৃতীয় ফ্রন্টের সলতে পাকানোর কাজ শুরু করল সিপিএম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নীতীশ কুমারকে পাশে নিয়ে আঞ্চলিক ফ্রন্ট গড়তে চাইছেন, সেই নীতীশের জেডি (ইউ)-কে সঙ্গে নিয়েই রাজস্থানে ভোটের জন্য জোট তৈরি করতে চায় সিপিএম। আগামী নভেম্বরে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। আগেই জোটের গঠন চূড়ান্ত করে ফেলতে চান প্রকাশ কারাটরা। তাঁদের বক্তব্য, এই জোটে সিপিএম এবং সিপিআই-এর পাশাপাশি থাকবে মুলায়মের সমাজবাদী পার্টি, দেবগৌড়ার জেডি (এস) এবং নীতীশের জেডি (ইউ)। হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র রাজস্থানেই সিপিএমের ভিত কিছুটা শক্ত। রাজ্য বিধানসভায় দলের তিন জন বিধায়কও রয়েছেন। সেই শক্তিতে ভর করেই এই পাঁচ দলের জোট নিয়ে ভোটের লড়াইতে নামতে চায় সিপিএম। প্রকাশ কারাটের কথায়, “রাজস্থানের ক্ষেত্রে এই দলগুলি এক সঙ্গে এসে একটি জোট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২১ জুলাই জয়পুরে প্রকাশ্য সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানেই এই জোটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে।”
জেডি (ইউ) বাদে বাকি তিনটি দলের সঙ্গে অবশ্য গত পাঁচ বছর ধরেই রাজস্থানে এক সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়েছে সিপিএম। ‘রাজস্থান লোকতান্ত্রিক মোর্চা’ নামের একটি জোটও তৈরি হয়েছিল। তাতেই নতুন সংযোজন নীতীশের দল। রাজস্থান বিধানসভায় জেডি (ইউ)-এর এক জন বিধায়কও রয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার পর থেকেই নীতীশ-শরদ যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিপিএম নেতারা। জেডি (ইউ) নেতৃত্বও বামেদের সঙ্গে জোট গড়ার ব্যাপারে উৎসাহী। ভোটের আগে তাই তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়তে চাইছেন বামেরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হান্নান মোল্লা বলেন, “এমন নয় যে আমরা রাজস্থানে অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিচ্ছি। রাজস্থানে বিজেপি বা কংগ্রেস, যে-ই থাকুক, পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হচ্ছে না। আসলে প্রয়োজন নীতির পরিবর্তন।” সরকার গঠনের ডাক না দিলে এমন জোট গড়ার কারণ কী? সিপিএম নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, রাজস্থানে তিনটি বিধানসভা-সহ কয়েকটি এলাকায় তাঁদের প্রভাব রয়েছে। একই ভাবে সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, জেডি (এস)-এর মতো দলগুলিরও কিছু এলাকায় প্রভাব রয়েছে। একই ভাবে জেডি(ইউ)-ও কিছু এলাকায় শক্তিশালী। ওই সব এলাকায় অ-কংগ্রেসি-অ-বিজেপি ভোটের ভাগাভাগি রুখতেই তাই এই জোট।
কিন্তু এই জোটের হাত ধরেই যে লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিকল্প জোট তৈরির সলতে পাকানো শুরু হচ্ছে, ঘরোয়া আলোচনায় তা-ও মানছেন সিপিএম নেতারা। প্রথমে সিপিএম নেতৃত্বের অবস্থান ছিল, এ বার লোকসভা ভোটের আগে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের কোনও চেষ্টা করবেন না তাঁরা। যা হবে, তা লোকসভা ভোটের পরেই হবে। |
|
|
|
|
|