ভেঙে গেল ইয়ারি। প্রিয় বন্ধু ‘শের খান’কে চোখের জলে বিদায় জানালেন অমিতাভ বচ্চন।
১৯৭৩ সালে জঞ্জির ছবিটি বদলে দিয়েছিল তাঁদের দু’জনেরই জীবন। অমিতাভ প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন নায়ক হিসেবে। আর খলনায়কের পরিচিতির মোড়ক থেকে বেরিয়ে এসে জন্ম নিয়েছিলেন চরিত্রাভিনেতা প্রাণ। সেই থেকে তাঁদের বন্ধুত্বের শুরু। আজ ব্লগে অমিতাভ লিখেছেন, “আজ এক জন অসাধারণ সহকর্মী, ভাল বন্ধু, মহান অভিনেতা, অনুভূতিশীল মানুষ এবং এক অতি সজ্জন মানুষকে হারালাম। প্রাণ সাহাবের মতো কেউ কখনও ছিল না, আর হবেও না। এই কিছু দিন আগেই এক জন আত্মীয় বলছিলেন, জীবনের এই পর্যায়ে এসে নতুন বন্ধু খোঁজার সুযোগ নেই। এখন শুধুই পুরনো বন্ধুদের হারানোর পালা।” মধ্য মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে তাঁর অন্ত্যেষ্টিতে এসে প্রাণকে শ্রদ্ধা জানান অমিতাভ বচ্চন। উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিন্হা, কর্ণ জোহর, গুলজার, অনুপম খের প্রমুখ। |
অন্ত্যেষ্টিতে না এলেও টুইটারে প্রাণ সাহাবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন শাহরুখ খান, প্রীতি জিন্টা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া থেকে শুরু করে আরও বহু অভিনেতা।
প্রাণের পরিবারকে সহানুভূতি জানান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
১৯২০ সালে নয়াদিল্লিতে প্রাণ কিষাণ শিখণ্ডের জন্ম হলেও বাবার বদলির চাকরির সূত্রে ছোটবেলা থেকেই নানা শহরে ঘুরতে হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁর বড় হয়ে ওঠা এবং লেখাপড়ার অধিকাংশই লাহৌরে। ছবি তুলতে ভালবাসতেন, তাই সেটাকেই পেশা করতে চেয়েছিলেন। তবে ভাগ্য তাঁর জন্য অন্য কিছু ভেবে রেখেছিল। ১৯৪০ সালে প্রথম অভিনয় করেন ‘ইয়ামলা জাঠ’ নামের একটি পঞ্জাবি ছবিতে, নায়কের ভূমিকায়। দেশভাগের পর স্ত্রী শুক্লাকে নিয়ে তিনি চলে আসেন মুম্বইয়ে। প্রথমে কাজ পেতে কিছু অসুবিধা হলেও দেব আনন্দ অভিনীত ‘জিদ্দি’-তে অভিনয়ের পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। প্রায় ৬০ বছরের অভিনয় জীবনে ৪০০-রও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। প্রথম দিকে খলনায়কের ভূমিকায়। জঞ্জির ছবিটির পর দর্শকেরা চিনেছিল চরিত্রাভিনেতা প্রাণকে। চলতি বছরের ১০ মে দাদাসাহেব ফালকে সম্মান তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। মাস দু’য়েকের ব্যবধানে বলিউড হারাল তার প্রাণকে। |