গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে মোর্চা নেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা তাঁদের মহিলা সমর্থকের বাড়িতে হামলার চালানোর অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি জয়গাঁ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় মেচিয়া বস্তি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় মেচিয়া বস্তি এলাকায় রমিলা লেপচার বাড়িতে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মোহন শর্মার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন মিলে হামলা চালায় বলে মোর্চার অভিযোগ। মহিলার বাড়ির সামনে পানের দোকানের বিভিন্ন জায়গায় ধারাল অস্ত্র কোপানো হয় বলে অভিযোগ। এর পরে ওই মহিলাকে টানাটানি করে তাঁকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগও করা হয়েছে। কংগ্রেসের সমর্থক বুনু তামাং পাল্টা অভিযোগ করেছেন, জয়গাঁর মোর্চা নেতা সুরেশ ঠাকুরি-সহ বেশ কয়েক জন তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। আলিপুর দুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “দুই তরফে অভিযোগ মিলছে। তদন্ত হচ্ছে।” কালচিনি ব্লক কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা জয়গাঁ জেলাপরিষদ আসনের প্রার্থী মোহন শর্মা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “একেবারে বানানো মিথ্যা অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বেশ কিছু মোর্চার লোকজন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। এতে ওই দলের স্থানীয় নেতারা সমস্যায় পড়েছেন। ওই মহিলার বাড়িতে মদের আসর বসানো নিয়ে বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেছিলেন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই মাত্র।” কংগ্রেস নেতা বাবলু মজুমদার জানান, মোহনবাবুরা ওই মহিলার বাড়ি থেকে বার হয়ে আসার পর মোর্চা নেতারা বুনু তামাং বলে কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে যান। মারধর ছাড়াও তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। উল্টো দিকে, জয়গাঁর মোর্চা নেতা সুরেশ ঠাকুরি বলেন, “সম্প্রতি জল বাড়ায় মোহনবাবু এলাকায় যান। আমাদের ওই নেত্রী তাঁকে দেখে বলেছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য থেকেই তিনি কেন কিছুই করেননি। এখন ভোট বলে এসেছেন। এই আক্রোশে তাঁর বাড়িতে হামলা করে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। আমাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।” পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন লাগানোর ঘটনার অভিযোগ উঠল সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে। ১২ জন সিপিএম কর্মীর নামে শুক্রবার ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ধূপগুড়ি থানা এলাকার ঝাড়আলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য খুঁট্টিমারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ধূপগুড়ি থানার আইসি যুগল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত চলছে।’’ সিপিএম অবশ্য পুরো ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছে। এ দিকে, ওই রাতেই দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে বিজেপি ও সিপিএমের বিবাদে উত্তেজনা ছড়াল কুমারগ্রাম থানার কামাখ্যাগুড়ি বর্মন পাড়ায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।” সিপিএম ও কংগ্রেস সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইসলামপুরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর থানার আগডিমঠি খুনতি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁদের দুই সমর্থক বাজার থেকে ফেরার সময় তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। সিপিএমের পাল্টা দাবি, কংগ্রেস কর্মীরা তাঁদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ছররা গুলি সিপিএম কর্মীর হাতে লাগে। এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “এলাকাতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।” সিপিএম ও কংগ্রেস পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। |