|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
উঠিল বাই, গ্রন্থ ছাপাই |
বইপোকা |
|
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর: জীবন ও সৃজন (প্রতিভাস) গ্রন্থনামই ভীতি জাগাইয়াছিল। ইহা বুঝি এমন এক গ্রন্থ যাহাতে দিনেন্দ্রনাথ অপেক্ষা তাঁহার তথ্যভাণ্ডারীরা মুখ্য হইয়া উঠিবেন। কিন্তু সুভাষ চৌধুরীর অথরশিপ-এ প্রকাশিত গ্রন্থটিতে দিনেন্দ্রনাথই প্রধান। ‘দেশ’ পত্রিকার বিনোদন সংখ্যায় প্রকাশিত সুভাষ চৌধুরীর প্রবন্ধ ‘শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি/ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর’ এই গ্রন্থে নাম পাইয়াছে ‘দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর: জীবন-কথা’। ইহার পৃষ্ঠাসংখ্যা প্রায় ৬০। গ্রন্থের বাকি অংশে দিনেন্দ্রনাথের রচনা-সংকলন: কাব্যগ্রন্থ বীণ, পরবর্তী কালে রচিত কবিতা, ছাত্র ও বন্ধুদের খাতায় লেখা টুকরো কবিতা, গান ও স্বরলিপি এবং চিঠিপত্র। এই অংশের পৃষ্ঠাসংখ্যা প্রায় ৯০। পরিশিষ্ট-এ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জন্মদিনের চিঠি’, রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠি এবং জসিমউদ্দিনের কবিতায় দিনেন্দ্র-স্মরণ। অর্থাৎ দাঁড়াইল কি? গ্রন্থের অধিকাংশ দিনেন্দ্রনাথ-রচিত। তবে গ্রন্থলেখক হিসাবে সুভাষ চৌধুরীর নাম কেন? অতি সহজে গ্রন্থটি দিনেন্দ্রনাথ রচনা-সংকলন হইতে পারিত। জীবন-কথায় যে প্রবন্ধগুলি সম্পূর্ণ উদ্ধৃত হইয়াছে সেগুলি এবং প্রাপ্তব্য অন্যান্য দিনেন্দ্র-রচনা হইত গ্রন্থের মূল পাঠ্য। সুভাষ চৌধুরীর প্রবন্ধটি হইতে পারিত পূর্বপাঠ এবং পরিশিষ্ট উত্তরপাঠ। অথরশিপ লইয়াও এমন অসংগতি ঘটিত না। তদুপরি ন্যূনতম কয়েকটি চিত্র দিয়া গ্রন্থটিকে আকর্ষণীয় করা যাইত। এমনকী কিঞ্চিৎ আয়াসে সত্যজিৎ রায়ের করা অনুপম দিনেন্দ্র-স্কেচটিও মুদ্রিত হইতে পারিত। অবশ্য এত পরিকল্পনা-যাতনা বঙ্গীয় বইপাড়ার সহে না, তাহার সাধারণ নীতি হইল, উঠিল বাই ত গ্রন্থ ছাপাই! |
|
|
|
|
|