আগ্নেয়াস্ত্র বেচতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল বিহারের বাসিন্দা প্রাক্তন এক সেনা কর্মী। ধৃত কায়ুম শেখের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। ভাগলপুর থেকে ট্রেনে চড়ে শুক্রবার সকালে বল্লারপুর স্টেশনে নেমে ট্রেকারে চড়ে সামশেরগঞ্জের গাজিনগর মোড়ে এসে পৌঁছয় ওই অস্ত্র ব্যবসায়ী। ওই মোড়েই আগ্নেয়াস্ত্র হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন স্কোয়াড ও সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ধৃতের কাছ থেকে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় পিস্তল ৪টি, ৩৮ রাউন্ড গুলি ও ৮টি ম্যাগজিন উদ্ধার হয়েছে। ২৮টি ৭.৬৫ বোরের ও ১০টি ৯এমএম কার্তুজও মিলেছে।”
এর আগেও মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে মুর্শিদাবাদে বিক্রি করেছে বলে ওই ব্যক্তি পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি ধৃত জেরায় জানিয়েছে, প্রতিটি পিস্তল ৮ হাজার টাকায় কিনেছে সে। এক একটি কার্তুজের দাম ২০০ টাকা।
পুলিশ সুপার বলেন, “ওই অস্ত্রের ক্রেতা পুলিশকে দেখে পালিয়ে যায়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে এর আগে যে ৪টি পিস্তল ওই ব্যক্তি বিক্রি করেছিল, সামসেরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তার ১টি উদ্ধার হয়েছে। বাকি ৩টি উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে।”
আগাম খবর পেয়ে এ দিন গাজিনগর মোড়ে সাদা পোশাকে পুলিশ অপেক্ষা করছিল। ট্রেকার থেকে নামতেই গ্রেফতার করা হয় ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনা কর্মী হিসেবে ইলাহাবাদে ৪১ সিগন্যাল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিল ওই ব্যক্তি।
১৯৯৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হয় তাকে। পুলিশ অবশ্য গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ওই ব্যক্তিকে জেরা করে যে তথ্য উদ্ধার হবে, তা তদন্ত করে দেখার জন্য মুঙ্গেরের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও পুলিশ সুপার জানান। |