যাত্রীবাহী বাসে করে শুক্রবার সকালে ধৃত এক যুবককে বড়ঞা থানা থেকে কান্দি আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কোর্টে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল হোমগার্ড যাদব বন্দ্যোপাধ্যায় ও কনস্টেবল সুদীপ ঘটকের উপর। কিন্তু বাসে সেই দুই পুলিশকর্মী ঘুমিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। সেই সুযোগে বাসের জানালা গলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত বাপি দাস।
‘আসামি পালিয়ে গেল’ বলে বাস যাত্রীরা চিৎকার জুড়তেই হুঁস ফেরে ওই পুলিশকর্মীদের। ভিড় বাসের যাত্রীদের ঠেলে দ্রুত নামতে গিয়েও বাধা পেতে হয় তাঁদের। বাস থেকে রাস্তায় যখন নেমে আসেন ওই দুই পুলিশ কর্মী, তত ক্ষণে কুলি বাজার পেরিয়ে বাপি উধাও। খবর পেয়ে বড়ঞা থানার ওসি রবি মালাকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ঘন্টা দুয়েক পরে বাপির খোঁজ মেলে কুলি থেকে প্রায় ৫ কিমি দূরে আন্দিতে। স্বস্তি ফেরে পুলিশ মহলে। তবে এদিন আর তাকে আদালতে হাজির করানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিবাদে গ্রেফতার করা হয় বাপিকে। এ দিন কেন তাকে বেসরকারি বাসে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “থানায় দুটো গাড়ি রয়েছে। একটি গাড়ি এলাকা টহলে রয়েছে। ভোটের আগে আচমকা এলাকায় কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামাল দিতে পুলিশ পাঠানোর কাজে ব্যবহার করতেই অন্য গাড়িটি থানায় ছিল।” এসপি বলেন, “রাজ্যের সর্বত্রই বাসে করে ধৃতদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। কুখ্যাত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণত থানার গাড়ি ব্যবহার হয় না। তবে ওই ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের কোনও গাফিলতি থাকলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |