খরজুনার ঘটনা আমাদের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। এ টি কামদুনির মতোই বাংলার ইতিহাসে আরও একটি কালো দিন। খরজুনার ঘটনায় পুলিশ সুপারের বিবৃতি আমাদের আহত করেছে। প্রকৃত পক্ষে তাঁর কাছ থেকে পরিশীলিত-পরিমার্জিত বোধ আশা করেছিলাম। তার বদলে তিনি গ্রামে গিয়েছিলেন ধর্ষিতার সতীত্ব পরীক্ষা করতে। পুলিশ সুপারের দেওয়া সহবাসের তত্ত্ব মানুষও খারিজ করে দিয়েছেন। চরিত্র হননের মাধ্যমে মৃতার ও তাঁর পরিবারের সামাজিক সম্মান নষ্ট করার অধিকার পুলিশ সুপার কে দিল? নারীর চরিত্রে কালো দাগ দেগে দিতে পারলেই পুলিশের কতর্ব্য ধর্ম পালন বেশ সহজ হয়ে যায়, তা আমরা ভালই জানি। খরজুনার ওই ঘটনায় পুলিশ সুপারের বক্তব্য শুনে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয়, তিনি যেন প্রশাসনিক আধিকারিক নন, তিনি শাসক দলের মুখপাত্র। নিরাপত্তার পরিবেশ যথাযথ না করায় নারীর সম্ভ্রম দুঃশাসনদের হাতে লুণ্ঠিত হয়। তারপর পুলিশ কর্তারা নির্যাতিত ও মৃত মহিলার সাদা কাপড়ে কালি ছিটিয়ে দেবেন এতো বড়ই বেদনার কথা। পার্কস্ট্রিট, কামদুনি, গাইঘাটা, গেদে, খরজুনার মতো পাশবিক ঘটনা আমার আপনার পরিবারেও ঘটতে পারে। তখন কোনও সরকারি পদাধকারি যদি বলেন, ‘ওই মহিলা এনজয় করেছে’ তখন তিনি ধর্ষণকারীর বিকৃত যৌনতাকেই প্রশ্রয় দেন। পুলিশ সুপার খরজুনার ঘটনায় সেটিই করেছেন। ফলে পুলিশ সুপার তাঁর ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে অন্যায় মন্তব্য করার জন্য যে ভাবে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার মানবাধিকার কমিশনে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এ ক্ষেত্রেও তারই পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি
|
গত ৩ জুলাই নদিয়া মুর্শিদাবাদ পাতায় লেখা ‘ঘুমিয়ে বিদ্বজ্জনেরা, ফেসবুকে ঝড় বহরমপুরে’ লেখা পড়লাম অবাক হয়ে। কারণ, বহরমপুরের অনেক সংগঠন বা মানবাধিকার রক্ষা সমিতির প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। সাংবাদিক বন্ধু লিখেছেন, বহরমপুরের বাচিক শিল্পচর্চার মুক্ত দিগন্ত আবৃত্তি সংস্থা প্রতিবাদ মিছিল করেছে কামদুনি কাণ্ডে ১৬ জুন। তারপর সব শেষ। আর কেউ পথে প্রতিবাদে নামেনি। কিন্তু আপানার গোচরে থাকা ভাল কামদুনি, গাইঘাটা, রানিতলা , সালার, খরজুনার মতো পৈশাচিক ঘটনার প্রতিবাদে ধারাবাহিক ভাবে নওদা, বেলডাঙা প্রভৃতি জায়গায় প্রতিবাদসভা করার পর গত ২২ জুন বহরমপুর পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে পর্যাপ্ত মাইক লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার রক্ষা সমিতি ও সি পি ডি আর যৌথ ভাবে প্রতিবাদ সভা করেছে। জানি না সাংবাদিক বন্ধু কেন সেটি শুনতে, বা জানতে পারলেন না কেন?
গৌতম চট্টোপাধ্যায়, বহরমপুর
|
আমি মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাপবাগ এলাকার বাসিন্দা। মৌজা হৈপৎগঞ্জ, হোল্ডিং নম্বর ৬১৯। আমার বাড়ির সামনের নর্দমাটি বিগত কয়েক মাস ধরে ভগ্নদশায় পড়ে। পুরসভায় অনেক বার লিখিত অভিযোগ করেও কোনও রকম সুরাহা হয়নি। এখন বর্ষা কাল। বৃষ্টিতে নর্দমার জল বাড়ির সামনে চলে আসছে। রাতে পোকামাকড়ের উপদ্রব আছে। তাছাড়া বিশ্রী দুর্গন্ধ সব সময় ভোগ করতে হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনও কিছুই কাজ করছে না।
নরেন চক্রবর্তী, গোলাপবাগ |