|
|
|
|
জেল থেকে গোল করার আশা কংগ্রেসের উত্তমের |
সুব্রত গুহ • কাঁথি |
প্রচারের আলোয় থাকতে চিরকালই ভালোবাসেন মামুদ হোসেন। জেলে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তম বারিক যে তা এ ভাবে শুষে নেবেন, ভাবতেও পারেননি তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে দেশপ্রাণ ব্লকের ৪৪ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে গতবারের বিজয়ী দলীয় প্রার্থীকে ছুড়ে ফেলে নিজে দাঁড়িয়েছেন মামুদ হোসেন। বিপক্ষে কংগ্রেস মনোনীত করে জেলা কোষাধ্যক্ষ উত্তম বারিককে। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন রাতেই পুরনো একটি মামলার জেরে উত্তমকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে জেলার রাজনীতি। রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন উত্তম। পথ নিষ্কণ্টক করতে মামুদ হোসেনই উত্তমকে গ্রেফতার করিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। আদালতের নির্দেশে মনোনয়ন দাখিল করলেও এখনও জেল হেফাজতে আছেন উত্তম। সহানুভূতির হাওয়া তুলতে তাঁর হয়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
যদিও জেলা পরিষদের বিদায়ী সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনের বক্তব্য, “অপহরণ আর তোলাবাজিতে অভিযুক্ত উত্তম। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে ধরেছে। মিথ্যা প্রচার করে ভোটের বাজার গরম করা যায়। জেতা যায় না।” |
|
পেশা |
ব্যবসা |
হেডমাস্টার |
নেশা |
পান চিবোন |
খবরের কাগজ পড়া |
প্লাস পয়েন্ট |
পাশে থাকেন |
সাংবাদিক-বান্ধব |
মাইনাস পয়েন্ট |
জেল থেকে লড়ছেন |
কর্তৃত্ব ফলানো |
প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে |
ধূর্ত, স্বার্থসন্ধানী |
তোলাবাজ |
লোকে বলে |
বেচারা! |
রাজনীতির অঙ্কে মাস্টার |
|
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের সরদা, আমতলিয়া, আঁউরাই আর ধোবাবেড়িয়া অঞ্চল নিয়ে জেলা পরিষদের ৪৪ নম্বর আসন। এর মধ্যে সরদা কংগ্রেসের দখলে। বাকি তিনটি অঞ্চলে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য। তাই মামুদ হোসেন ও উত্তম বারিক ছাড়া এই আসনে সিপিআই, বিজেপি ও এসইউসি-র প্রার্থী থাকলেও এলাকায় পোস্টার, ব্যানার দেওয়াল লিখন শুধুই তৃণমূলের। বস্তুত পূর্ব মেদিনীপুরের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূলই চারদিকে।
নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের হাওয়ায় গত বার জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল। গত পাঁচ বছরে উন্নয়নে ব্যর্থতার পাশাপাশি দুর্নীতি, পক্ষপাতের অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে। রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডার কথায়, “সভাধিপতিকে কাঠপুতুল করে রেখেছিলেন মামুদ হোসেন। এই নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ আছে দলে। এ বার শুধু ওঁর পরিবারেরই পাঁচ জন প্রার্থী হয়েছেন। অধিকারী বাড়ির ঘনিষ্ঠ বলে দলের লোকেরা প্রকাশ্যে কিছু বলে না হয়তো। ব্যালটে কিন্তু আমাদের দিকে চলে আসতে পারেন তাঁরা।” |
|
|
|
|
|