কিরণ ছেত্রী |
ভোটের কাজে গিয়ে বাঁকুড়ার বড়জোরায় হাতির হামলায় মারা গেলেন কিরণ ছেত্রী (৫৭) নামে এক হোমগার্ড। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার ভানুনগরের খাটা লাইনে। বৃহস্পতিবার রাতে ভোট শেষ হওয়ার পরে তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে কলেজ চত্বরের তাঁবুতে ফিরছিলেন। রাত তখন প্রায় ১টা। আচমকা তাঁরা একটি হাতির সামনে পড়ে যান। জলপাইগুড়ি পুলিশের হোমগার্ডের জেলা কমান্ডেন্ট অজয় বর্মন বলেন, “সামনে হাতি দেখে ভয়ে কিরণবাবু ছুটে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির প্রাচীর টপকে গিয়ে পড়েন তার ভিতরের সেপটিক ট্যাঙ্কে। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।” তবে বড়জোড়া গ্রামপঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের অলক মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “মৃতদেহ দেখে মনে হয়েছে হাতি পায়ে পিষে তার পরে শুঁড়ে জড়িয়ে আছড়ে ফেলে কিরণবাবুকে। তাতেই তিনি মারা যান।” বড়জোড়া রেঞ্জ আধিকারিক পীযূষকান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, কিরণবাবুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই এলাকায় অন্তত ২২টি হাতি রয়েছে। ভিন জেলার বাসিন্দারা যখন ভোটের কাজে আসেন, তখন তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া উচিত ছিল। বাঁকুড়া জেলাশাসক বিজয় ভারতী আশ্বাস দিয়েছেন, কিরণবাবুর পরিবারকে নিয়মমাফিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। |
হাতির হানায় বালকের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
হাতির হানায় এক বালকের মৃত্যু হল। জখম এক কিশোরী। ঘটনাটি অসমের বাক্সা জেলার। পুলিশ জানায়, গত রাতে হাতির পাল নাগ্রিজুলিতে ঢোকে। রাতভর হাতির তাণ্ডবে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভাঙে। আজ সকালে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে শিব মগর নামে দশ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয়। জখম হয় সুনীতা মগর নামে এক কিশোরী। এ দিকে, কাজিরাঙায় বর্শাবিদ্ধ একটি হাতিকে বন্যার জলে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। |