|
|
|
|
চাদর চুরির সাজা ১৫ বছরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রায় ১৫ বছর আগে এক রেলকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছিল পূর্ব রেলের ছাপ মারা এসি কোচের বিছানার চাদর, তোয়ালে ও বালিশের ঢাকা। সরকারি সম্পত্তি চুরির অভিযোগে রেলপুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছিল। মামলা উঠেছিল আদালতে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলা চলার পরে আদালত যখন শুক্রবার অভিযুক্তকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করল, তখন ওই ব্যক্তি এক বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। রেলের পেনশনও পাচ্ছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালের ১৪ জুলাই পূর্ব রেলের কর্মী এসি কোচের অ্যাটেনড্যান্ট তারিক চৌধুরীর হাওড়ার বিএনআর কলোনির কোয়ার্টার্সে তল্লাশি চালিয়ে পূর্ব রেলের ছাপ মারা ৯টি বিছানার চাদর, ২টি তোয়ালে ও একটি বালিশের ঢাকা উদ্ধার করে রেলরক্ষী বাহিনী। এই অভিযোগে টিকিয়াপাড়া রেলপুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে। একই সঙ্গে তাঁকে চুরিতে সাহায্য করার জন্য গ্রেফতার করা হয় আর এক রেলকর্মী কমল চৌধুরীকে। দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা ওঠে হাওড়ার এসডিজেএম-এর আদালতে।
দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা চলার পরে তা চলে যায় হাওড়া পঞ্চম ফৌজদারি কোর্টে। সেখানেও দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে। এর মধ্যে রোগভোগে মারা যান অভিযুক্ত কমলবাবু। তবে স্বাভাবিক ভাবেই চাকরি করতে থাকেন তারিকবাবু। গত বছর এপ্রিল মাসে রেলের চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। ইতিমধ্যে মামলার রায়ের দিন চলে আসে। শুক্রবার মামলার রায় দেন পঞ্চম ফৌজদারি কোর্টের ম্যজিস্ট্রেট মানিকলাল জানা। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের জেলের সাজা দেয় আদালত। রায় শুনে আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত প্রাক্তন রেলকর্মী। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সরাকরি আইনজীবী উমেশকুমার বলেন, “আদালতের এই রায় নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ যোগ্য। এই রায়ের ফলে অসাধু রেলকর্মীদের শিক্ষা হবে যে চুরি করলে সাজা হয়।” উমেশবাবু জানান, এই রায়ের ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তির অবসরকালীন অনেক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। |
|
|
|
|
|