সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে না পারলে তিনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্ট বুধবারই টাটাদের কাছে জানতে চেয়েছে, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে তারা টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি ছাড়বে কিনা। এখনও উত্তর মেলেনি। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই প্রশ্নকেই তাঁদের নৈতিক জয় বলে দাবি মমতার। সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান পঞ্চায়েত ভোটে মমতাকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে, মত রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার হুগলি জেলারই আর এক প্রান্ত জনাইয়ে নির্বাচনী সভায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ জুলাই ভোট হবে এই জেলায়। ট্রেনিং হাইস্কুলের মাঠে ভিড়ে-ঠাসা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম সারা পৃথিবীকে পথ দেখিয়েছে। সিঙ্গুরের জন্য আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। নন্দীগ্রামে আমি ঢুকতে না পারলে নন্দীগ্রামকে বাঁচাতে পারতাম না। সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে না পারলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।”
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী যখন মঞ্চে ওঠেন তখন বৃষ্টি চলছে। এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মমতা বলেন, “এই প্রবল বর্ষায় আমরা ভোট চাইনি। কিন্তু গত চার-পাঁচ মাস ধরে বারে বারেই দিন পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন।” এ দিন আবারও নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের সঙ্গে বিরোধীদের যোগসাজশের অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ওঁদের পঞ্চায়েত নির্বাচন না করারই পরিকল্পনা ছিল।” রমজান মাসে ভোট করা নিয়েও নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে রাজ্য আট জন তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন বলে দাবি করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমাদের ছেলেরা সহ্য করে আছে।” এক সময়ে কংগ্রেস করতেন ভেবে তাঁর লজ্জা হয়, জানান তিনি।
সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএমকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সমাজে দু’একটা কুলাঙ্গার থাকে। তা বলে কি সব ছেলে খারাপ? ধানতলা-বানতলার সময় কোথায় ছিলেন? এমন কুৎসা করছে যেন আমি ধর্ষণ করেছি। ভাগ্যিস আমি মেয়ে!”
|