সাঁওতাল পরগনার রীতি মেনে বিপত্তারিণীর পুজো দেওয়ার পরই রাজভবনে শপথ নিতে যাবেন হেমন্ত সোরেন। আজ জেএমএম সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
রাজভবন থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার, ১৩ জুলাই ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী সরকারের শপথের দিন ঠিক করা হয়েছে। নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সে দিন আরও দু’জন পূর্ণমন্ত্রীও মন্ত্রগুপ্তির পাঠ নেবেন। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করতে রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সম্মতিসূচক জবাব পৌঁছেছে রাঁচিতে। এরপরই হেমন্ত সোরেনের কাছে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ-পত্র পাঠান রাজ্যপাল।
জেএমএম সূত্রের খবর, শনিবার শপথ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হতে চলা হেমন্তই। দলের মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের দলের উৎস সাঁওতাল পরগনা। সেখানে সংস্কারই প্রাধান্য পায়। শনিবার বিপত্তারিণী দেবীর পুজো। ওই জেলায় তা নিষ্ঠা সহকারে করা হয়। শপথ নেওয়ার আগে দলের সকলেই ওই দিন দেবীপুজোয় বসবেন। তারপরই রাজভবনে যাবেন হেমন্ত।” সুপ্রিয়বাবু জানান, শনিবারই শপথ নিতে চেয়েছিলেন হেমন্ত। এ নিয়ে রাজ্যপালকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
জেএমএম সূত্রের খবর, শনিবার ‘মুখ্যমন্ত্রী’ হেমন্তের সঙ্গে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন কংগ্রেস নেতা রাজেন্দ্র সিংহ এবং আরজেডি-র অন্নপূর্ণাদেবী। ১৬ জুলাই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের পরই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করবেন হেমন্ত। আপাতত ঠিক হয়েছে, জেএমএম, কংগ্রেস, আরজেডি ছাড়া মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন না নির্দল কোনও বিধায়কই। এ নিয়েই বিতর্ক।
হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করার পরিবর্তে মন্ত্রিত্ব চেয়েছেন ‘ঝাড়খণ্ড জনাধিকার মঞ্চ’-এর বিধায়ক বন্ধু তিরকি। এ দিন দুপুরেই তিনি দেখা করেন জেএমএম ‘সুপ্রিমো’ শিবু সোরেনের সঙ্গে। জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকারের শপথের দিন রাজ্যে কালাদিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান জানিয়েছে বাবুলাল মারাণ্ডির ‘ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা’। আজ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কালাদিবস পালন করবে বিজেপি-ও। পাল্টা হিসেবে, শপথের দিন রাস্তায় রাস্তায় মিষ্টি বিতরণ করে ‘অধিকার’ দিবস পালন করবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা, সদস্যরা।
|