|
|
|
|
কাছাড়ের বহ্নিশিখার জামিন বারাসতে, ক্ষোভ বরাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
তিনি গত চার মাস ধরে শিলচর বা কাছাড়ে নেই। জন্মকর্ম যদিও এই অঞ্চলে, তবু চাকরি থেকে অবসর নিয়েই চলে গিয়েছেন কলকাতায়।
ঠাঁই নিয়েছেন রাজারহাটের ফ্ল্যাটে। অথচ গত কিছু দিন ধরে তিনিই বরাকের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রে। মঙ্গলবার নিউ টাউন থানার সহায়তায় অসম পুলিশ রাজারহাট থেকেই কাছাড় জেলা পরিষদের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য কাযনির্বাহী অফিসার বহ্নিশিখা দত্তকে গ্রেফতার করে। তাঁকে শিলচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অসম পুলিশ ‘ট্রানজিট রিমান্ড’-এর আবেদন করে বারাসত আদালতে। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে ব্যক্তিগত জামিনে বহ্নিশিখা দেবীকে মুক্তি দেয়। এর প্রতিবাদে আজ সমালোচনায় মুখর বরাকের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে বহ্নিশিখা দেবীর বিরুদ্ধে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এ আসলে পুলিশেরই গট-আপ ম্যাচ। দলের জেলা সভাপতি কৌশিক রাই বলেন, ‘‘এই কারণেই আমরা শুরু থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করছি।’’ আজ সকালে একদল মানুষ জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে একই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান। গৌহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী প্রদীপ দত্তরায় প্রশ্ন তুলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে যিনি ‘ওয়ান্টেড’ নন, তাঁকে কী করে সে রাজ্যের একটি নিম্ন আদালত জামিন দেয়? এ ছাড়া, অসম সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার বহ্নিশিখার বিরুদ্ধে যেহেতু তিনটি মামলা রয়েছে, একটিতে জামিন মঞ্জুরের পর অন্য কোনও মামলায় কেন গ্রেফতার করা হল না তাঁকে?” ১২০ (খ) ও ৪২০ ধারায় অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতের জামিন প্রদান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী দত্তরায়।
এ দিকে কাছাড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব বরা আজ খালি হাতে শিলচরে ফিরে বলেন, ‘‘আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। যে কারণে ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতারের সময় তাঁর আইনজীবী বহু যুক্তি দেখালেও আমাদের কাছে তাঁকে হার মানতে হয়। আমরা বহ্নিশিখা দত্তকে গ্রেফতার করি। পরে বারাসত আদালতে সাত দিনের ট্রানজিট রিমান্ড-ও চাই। কিন্তু সেখানে আমাদের আর্জির পক্ষে যুক্তি দেখানোর কথা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কৌসুঁলির।’’ ধ্রুব বাবু ওই সরকারি আইনজীবীর ভূমিকা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ধ্রুববাবু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আদালত আমাদের কাছে কেস ডায়েরিও দেখতে চাইল না।’’
|
পুরনো খবর: সরকারি কোষাগারের টাকা লোপাট |
|
|
|
|
|