|
|
|
|
অপহৃত অরূপ বাংলাদেশে, জানালেন পুলিশ সুপার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
সীমান্তবর্তী বরাকে, বিশেষ করে করিমগঞ্জে পরের পর অপহরণের ঘটনায় ক্রমশ হতাশ, পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ। মাস খানেক আগে করিমগঞ্জের বদরপুর থেকে অপহৃত অরূপ কর্মকারকে উদ্ধারের দাবিকে সামনে রেখে আজ তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল। দলমত নির্বিশেষে আজ করিমগঞ্জের মানুষ বিক্ষোভ দেখান জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ পূজারির কাছে।
গত ৮ জুন রাতে অপহৃত হন অরূপ। এক মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। প্রতিবাদে বিভিন্ন দল-মতের মানুষ আজ জোট বেঁধে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে উদ্ধার করা না-হলে জেলা জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা। ক্ষুব্ধ জনজোটে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায়। তেমনই নেতৃত্বের পুরোভাগে দেখা যায় বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি মিশনরঞ্জন দাসকেও। পুলিশ সুপার প্রদীপ পূজারি অবশ্য কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। তিনি জানান, অরূপকে খুঁজে পেতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই। এ পর্যন্ত মোট ছ’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেরা করে পুলিশ নিশ্চিত, অরূপকে দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে নিয়ে গেছে। এ নিয়ে বিএসএফ-বিজিবি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে। অরূপকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ায় এখানকার পুলিশের হাত-পা বাঁধা বলে প্রতিনিধিদলটিকে স্পষ্ট করে জানান পুলিশ সুপার। করিমগঞ্জের বাসিন্দা তথা বদরপুরের এক সিমেন্ট কোম্পানির অস্থায়ী ইলেকট্রিশিয়ান, ৩৬ বছরের অরূপ ৮ জুন কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হন। রাত বারোটায় তিনি নিজের মোবাইল থেকে ফোন করে বাড়িতে অপহরণের কথা জানান। এর পর থেকে মোবাইল বন্ধ। দুষ্কৃতীরা দফায় দফায় মুক্তিপণ নিয়ে দর কষাকষি করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, হাইলাকান্দি জেলা থেকে অপহৃত পান ব্যবসায়ী বাহারউদ্দিনেরও কোনও সন্ধান এখনও মেলেনি। তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে একই সঙ্গে দুই ভাইকে পানের বরজ থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বন্দুকধারীরা। পরে ছোট ভাই একলাসউদ্দিনকে মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য ছেড়ে দেয়। পরে আর কেউ মুক্তিপণের জন্য যোগাযোগ করেনি। মুক্তিপণের টাকা কবে কোথায় দেওয়া যেতে পারে, তা-ও জানায়নি। পুলিশের দাবি, বাহারউদ্দিনের খোঁজে অসম-মিজোরাম সীমাবর্তী পাহাড়ি এলাকায় তল্লাশি চলছে। |
|
|
|
|
|