|
|
|
|
হেমন্তের নেতৃত্বে শপথ নিতে চলেছে ইউপিএ জোট সরকার |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
আপাতত বাকি কিছু সরকারি প্রক্রিয়া। কংগ্রেসের সমর্থনে ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী তথা দেশের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন জেএমএম প্রধান তথা ‘গুরুজি’ শিবু সোরেনের পুত্র, হেমন্ত সোরেন। আজ বিকেলে রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদের সঙ্গে দেখা করে ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি তাঁর হাতে তুলে দেন হেমন্ত। সরকার গড়ার আনুষ্ঠানিক দাবিও পেশ করেন। হেমন্তের সঙ্গে ছিলেন শিবু সোরেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখদেব ভগত, কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা রাজেন্দ্র সিংহ প্রমুখ। রাজভবন সূত্রের খবর, আজ রাতে জেএমএম-কংগ্রেস জোটের এই প্রস্তাব-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে সেই রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন রাজ্যপাল।
গত ১৮ জানুয়ারি জেএমএম-বিজেপি জোটের সরকারের পতনের পর থেকেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। তবে বিধানসভা ভাঙা হয়নি। তা জিইয়ে রেখেই ছ’মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। আগামী ১৮ জুলাই ছ’মাসের সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আজ বিকেলে রাজভবন থেকে বেরিয়ে হেমন্ত বলেন, “৮২ সদস্যের বিধানসভায় ৪২ জনের সমর্থন জরুরি। আমাদের পিছনে ৪৩ জনের সমর্থন রয়েছে। আমরা রাজভবন থেকে আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছি। এবার রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থে নতুন সরকার কাজ করবে।” উল্লেখ্য, চলতি বিধানসভার আর সতেরো মাস আয়ু। নতুন বিকল্প সরকার এই পুরো সময়টাই কাজ করবে বলে আশা প্রস্তাবিত বিকল্প সরকারের তিন প্রধান শরিক--- জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি। বিধানসভায় জেএমএমের ১৮ বিধায়ক, কংগ্রেসের রয়েছে ১৩ বিধায়ক, আরজেডির ৫ বিধায়ক। এ ছাড়াও হেমন্তের পিছনে রয়েছে ৭ নির্দলের সমর্থন। |
|
জোট সরকার গঠনের আর্জি নিয়ে রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদের কাছে ঝাড়খণ্ডের
জেএমএম, কংগ্রেস-সহ অন্য কয়েকটি দলের নেতারা। রয়েছেন সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী
হেমন্ত সোরেন ও জেএমএম প্রধান শিবু সোরেন। ছবি: মুন্না কামদা। |
রাজ্যে শেষ পর্যন্ত বিকল্প সরকার তৈরি হবে কিনা, রাজ্য-রাজনীতিতে গত ছ’মাসে তা ছিল লাখ টাকার প্রশ্ন। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার দিল্লিতে গিয়ে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হচ্ছিল জেএমএম নেতাদের। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ড ঝাড়খণ্ডে বিকল্প সরকার তৈরির ক্ষেত্রে বুঝেসুঝেই পা ফেলতে চাইছিল। বিশেষ করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ জোটে নতুন শরিকদের টানতে চাইছে কংগ্রেস। জেএমএমের সঙ্গে রফায় লোকসভায় আটটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীরা যে জোটের হয়ে লড়বে তাও চূড়ান্ত করে নিয়েছে কংগ্রেস। সূ্ত্রের খবর, আজ সকালেও রাজ্যের দুই কংগ্রেস নেতা, সাংসদ সুবোধকান্ত সহায় এবং পরিষদীয় নেতা রাজেন্দ্র সিংহ দিল্লিতেই ছিলেন। সেই কারণে রাজভবনে যাওয়ার সময় পিছিয়ে দিতে হয়। দুপুর বারোটার বদলে বিকেল সাড়ে পাঁচটা। সকাল এগারোটায় শিবু সোরেনের বাড়িতে প্রস্তাবিত বিকল্প সরকারের শরিক-বিধায়কদের বৈঠকের সময় পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিকাল চারটেয়।
উল্লেখ্য, এই প্রথম ঝাড়খণ্ডে সরাসরি সরকারে যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস। এর আগে ২০০৬ সালে নির্দল বিধায়ক মধু কোড়া যখন মুখ্যমন্ত্রী হন তখন বাইরে থেকে তাঁর সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল কংগ্রেস। এ পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে তাতে নতুন সরকারে কংগ্রেসের পাঁচ জন মন্ত্রী হবেন। জেএমএম এর মন্ত্রী হবেন পাঁচজন। আরজেডি থেকে মন্ত্রী হবেন দু’জন। কংগ্রেসের তরফে প্রদেশ সভাপতি সুখদেব ভগত বলেন, “শপথ নেওয়ার জন্য রাজভবন থেকে ডাকের আশাতে রয়েছি আমরা সকলেই। হেমন্তের নেতৃত্বে নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পরে আমরা ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করব।”
|
পুরনো খবর: জোট গড়তে রাজভবন যাচ্ছে জেএমএম, কংগ্রেস |
|
|
|
|
|