ঝাড়খণ্ড
জোট গড়তে রাজভবন যাচ্ছে জেএমএম, কংগ্রেস
ঝাড়খণ্ডে বিকল্প সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আজ, মঙ্গলবার রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন কংগ্রেস, জেএমএম, আরজেডি বিধায়করা। রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে থাকতে পারেন কয়েকজন নির্দল বিধায়কও।
বিকল্প সরকার গঠন নিয়ে আজ দুপুরে মোরাবাদির বাসভবনে দলের নেতা-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেএমএম ‘সুপ্রিমো’ শিবু সোরেন। দলের মুখপাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “বিকল্প সরকার তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আগামীকাল রাজ্যপালের কাছে যাওয়া হবে। তাতে সব দলের প্রতিনিধিরাই থাকবেন।”
নয়াদিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার পর ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-এর সঙ্গে জোট সরকার গড়তে তৎপর হয়েছে কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা তথা শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্তকে ওই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে কংগ্রেস। পরিবর্তে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ১৪টি আসনের মধ্যে ১০টি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে রাজি হয় জেএমএম।
রাজনৈতিক মহলের খবর, নতুন সরকারে কংগ্রেস এবং জেএমএএম-এর পাঁচজন করে মন্ত্রী থাকবেন। আরজেডি পাবে দু’টি দফতর।
বিধানসভায় ‘ম্যাজিক-সংখ্যা’য় পৌঁছতে নির্দল কয়েকজন বিধায়কেরও সমর্থন প্রয়োজন হতে পারে নতুন রাজনৈতিক জোটের। যোগ-বিয়োগের ‘সমীকরণে’ ইতিমধ্যেই দর-কষাকষি শুরু করেছেন নির্দল বিধায়করা। রাজনৈতিক মহলের খবর, মান্দারের নির্দল বিধায়ক বন্ধু তিরকি মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিকল্প সরকারকে সমর্থনের বিনিময়ে কোলেবিরার বিধায়ক এনোস এক্কা তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রকে মহকুমার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
জেএমএম নেতা সুপ্রিয়বাবু অবশ্য জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে নির্দল বিধায়করা মন্ত্রিসভায় থাকবেন না। এ কথা তাঁদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, মন্ত্রী না-হলেও বন্ধু তিরকিকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও সরকারি পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বন্ধুর পাশাপাশি চামরা লিণ্ডা, বিদেশ সিংহ এবং হরিনারায়ণ রাই তাঁদের সম্মতিপত্র রবিবারই জেএমএম নেতৃত্বকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
৮২ আসনের বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৪২ জনের সমর্থন। জেএমএম সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন জোগাড় হয়েছে। আজ দফায়-দফায় বৈঠক হয় এনোস এক্কা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার স্ত্রী গীতা কোড়া এবং অরূপ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। নতুন সরকার গঠনের তাঁদের সমর্থনও মিলবে বলে দাবি করেছেন জেএমএম নেতা হেমলাল মুর্মূ।
জানুয়ারি মাসে বিজেপি-জেএমএম জোট সরকারের পতন হয় ঝাড়খণ্ডে। তারপর থেকেই রাজ্য রাষ্ট্রপতি শাসনাধীন। ১৮ জুলাই ওই শাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.