|
|
|
|
পরীক্ষা বোধিবৃক্ষের |
বিস্ফোরণের তদন্তে বেসরকারি রক্ষীদেরও জেরা করবে এনআইএ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
মহাবোধি মহাবিহারে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কোনও কর্মীর যোগসাজসের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না এনআইএ তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুদ্ধগয়ার ওই তীর্থস্থানে মোতায়েন বেসরকারি রক্ষীদেরও সে কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কথাতেও তা স্পষ্ট হয়েছে। আজ তিনি বলেছেন, “বেসরকারি ওই সংস্থার রক্ষীরা এনআইএ-র নজরদারিতে রয়েছেন। প্রয়োজনে তদন্তকারীরা তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন।” বিহার পুলিশের নজরদারির অভাবের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না-করলেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কারও গাফিলতি থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ দিকে, সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি-বিস্ফোরণে বোধিবৃক্ষের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতে কয়েক দিনের মধ্যেই একটি বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পৌঁছবে।
বৌদ্ধ মহাবিহারে ২৪ ঘণ্টা প্রহরার জন্য বেসরকারি ওই নিরাপত্তা সংস্থা এবং পরিচালন কমিটির মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৯টার পর থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সেখানে বে-সরকারি কোনও নিরাপত্তা-কর্মী থাকতেন না। কেন রাতের ওই সময়ে মন্দির চত্বরে কোনও কর্মী রাখা হয়নি, তা জানতে চেয়ে নিরাপত্তা সংস্থাকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছেন মহা-বিহারের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান তথা গয়ার জেলাশাসক বালা মুরগণ্ডি। |
|
বুদ্ধগয়ার মন্দিরে ইউনেস্কোর দল। ছবি: পিটিআই |
তিনি বলেছেন, “উত্তরের জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপর এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।” বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার ফিল্ড অফিসার অবশ্য পাল্টা মহাবিহার পরিচালন কমিটির দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, “কমিটি থেকেই আমাদের রাতে পাহারা দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। তা-ই আমাদের কর্মীরা রাত ৯টার পর ফিরে যেতেন।” নাশকতার ‘জাল’ যে ঘটনার আগের রাতেই মহাবিহার চত্বরে ছড়ানো হয়েছিল তা জানিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি অভয়ানন্দ। তিনি বলেছিলেন, “বোমাগুলি রাতেই রাখা হয়েছিল। জঙ্গিরা মহাবিহারের পাঁচিলের একটা নীচু অংশ দিয়েই ভিতরে ঢোকে বলে মনে করা হচ্ছে।”
বুদ্ধগয়ার মহাবিহার চত্বরে ‘সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স’ (সিআইএসএফ) মোতায়েন করার বিষয়ে নীতীশ এ দিন বলেন, “অন্য কোনও ধর্মীয় স্থানের সঙ্গে মহাবোধি মহাবিহারের তুলনা ঠিক নয়। তাই সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে আলাদা ভাবে চিন্তা করা উচিত কেন্দ্রের।”
গত কাল ওই মহাবিহারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে বলেছিলেন, “দেশের কোথাও কোনও ধর্মীয় স্থানে সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয়নি।”
বিস্ফোরণে বোধিবৃক্ষ অটুট রয়েছে কি না, তা দেখতে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে সেখানে যাবেন দেহরাদূনের ‘ফরেস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট’-এর বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার পরই মহা-বিহারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ওই সংস্থার বিশেষজ্ঞ এন এস কে হরিশ। তিনি এ দিন ফোনে বলেন, “বিস্ফোরণে সত্যিই গাছটির কোনও ক্ষতি হয়েছ কি না, তা এক মাস আগে বোঝা যাবে না। তাই ৭ অগস্টের পরই তিন জনের একটি কমিটি ওই গাছটি পরীক্ষা করতে বুদ্ধগয়ায় যাবেন।” |
পুরনো খবর: তথ্য দিলে পুরস্কার দশ লক্ষ, ঘোষণা এনআইএ -র |
|
|
|
|
|