|
|
|
|
বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ |
তথ্য দিলে পুরস্কার দশ লক্ষ, ঘোষণা এনআইএ-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
তিন দিন হয়ে গেল। তার পরেও বুদ্ধগয়ায় মহাবোধি মহাবিহারে বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনও সূত্র না পেয়ে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) তথ্য সংগ্রহে পুরস্কার ঘোষণা করল। আজ এনআইএ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিস্ফোরণের পিছনে কারা আছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য কেউ দিলে তাকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আজ বিস্ফোরণস্থল দেখতে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে। সঙ্গে আসেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সনিয়া এবং শিন্দে মহাবিহারের মধ্যেই এনআইএ-র ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যেখান থেকে বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে হিংসার ঘটনা। আমরা এর নিন্দা করছি। মহাবোধি মহাবিহার শান্তির প্রতীক। সেখানে এমন বিস্ফোরণ চিন্তার বিষয়।” শিন্দের পাশে ছিলেন সনিয়া। তিনি এই নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। |
|
সুশীলকুমার শিন্দের সঙ্গে সনিয়া। বুধবার বুদ্ধগয়ায়। ছবি: পিটিআই |
এ দিকে, এনআইএ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের যে ১৩ জনকে খুঁজে পায়নি। হায়দরাবাদের বিস্ফোরণের পরে সমস্তিপুরে তাদের খোঁজে কয়েক দফা তল্লাশিও চালিয়েছিল এনআইএ। বুদ্ধগয়ার বিস্ফোরণের পরে আজ ফের তাদের খোঁজে মধুবনি, সমস্তিপুর এবং দ্বারভাঙায় ছবি-সহ পোস্টার দেওয়া হল। বিহারের নাশকতাকারীরা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের পাণ্ডা এবং দেশের বহু নাশকতার হোতা ইয়াসিন ভটকলের নিয়োগ করা সদস্য বলেই পুলিশের ধারণা। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তের সুবিধার জন্য এনআইএ দিল্লি এবং লখনউয়ের অফিসারদের নিয়ে তিনটি তদন্তকারী দল গঠন করেছে। এনআইএ-র পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য আজ আনুষ্ঠানিকভাবে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি-র ছবি দেখে যে চার জনকে কাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পটনায় আটক করা হয়েছিল তাঁদের এনআইএ আজ ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে গুঞ্জন পটেল নামে জেডিইউ-এর এক ছাত্র নেতাও রয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, রাত ২ থেকে ৪টে পর্যন্ত তাঁরা বুদ্ধগয়ার একটি হোটেলে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা। পরে তাঁরা পটনায় চলে আসে। জেরায় তাঁরা বলেছেন, ভয়ে বুদ্ধগয়া ছেড়ে চলে এসেছিলেন। একটি সূত্র বলছে, ছেড়ে দেওয়া হলেও এই চার জনের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
শিন্দে বলেন, “ঘটনার পরে এনআইএ ও এনএসজিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। রাত থেকে এনআইএ তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।” সন্ত্রাসবাদী ও মাওবাদী শক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সব দিক মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।” মহাবোধি মহাবিহারে সিআইএসএফ নিয়োগের ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, “দেশের কোনও ধর্মীয় স্থানেই সিআইএসএফ নিরাপত্তা রক্ষী নেই। সিরডিতে সাইবাবা মন্দিরের জন্যও অনুরোধ এসেছিল। মহাবিহারে সিআইএসএফ মোতায়েনের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের চিঠি পেয়েছি। কেন্দ্র এই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে।”
|
পুরনো খবর: ৪ সন্দেহভাজনকে আটক, জেরা করবে এনআইএ |
|
|
|
|
|