ইস্টবেঙ্গল মাঠটা কেমন? বুধবার সেটাই সরেজমিন দেখে নিলেন
লাল-হলুদের নতুন ব্রাজিলীয় কোচ ফালোপা। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
|
শহরে পা দিয়েই নতুন অ্যাসাইনমেন্ট ঘিরে রীতিমতো হোমওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছেন ৬৪ বছরের বর্ষীয়ান কোচ। এ দিন সকালেই চলে গিয়েছিলেন যুবভারতী। মাঠ দেখার পর স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে সোজা ইস্টবেঙ্গল তাঁবু। সেখানেও মাঠ জিমন্যাসিয়াম খুঁটিয়ে দেখার পর ড্রেসিংরুমে খোলামেলা আড্ডা জুড়ে দেন মেহতাব, অর্ণব, অভ্র, সৌমিকদের মতো স্থানীয় ফুটবলারদের সঙ্গে। সেখানেই ফুটবলারদের নতুন কোচের প্রথম ভোকাল টনিক, “নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। এই ক্লাবের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরিকাঠামো কথা বলে। জেনে রেখো, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।” ফালোপা আরও বলেন, “তোমাদের খেলার ভিডিও ক্লিপিংস দেখে বুঝেছি, তোমাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা যথেষ্ট। সময় কম। তার মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে মাঠে নেমে তোমাদের কাজ দুটো। ভাল খেলা। আর ট্রফি জেতা। এএফসি কাপে ভাল খেলতেই হবে।” সৌমিক-অভ্ররাও আশ্বাস দেন সহযোগিতার। যা শুনে তৃপ্তির হাসি ফালোপার মুখে।
আড্ডার মাঝেই চিকেন কারি-রাইস সহযোগে লাঞ্চ। সঙ্গে ফল। উপরি হিসাবে নিজের বিশাল অভিজ্ঞতা থেকে মজার মজার গল্প তুলে ধরা। যা শুনে মেহতাবরা বলছেন, “কী ভাবে যে সময়টা কেটে গেল বোঝা গেল না। খুব মজার মানুষ।” |
ক্লাব তাঁবুতে সপরিবার খাওয়া-দাওয়া সারলেন। সেখানে ছিলেন ক্লাব সচিব
কল্যাণ মজুমদার-সহ এ মরসুমের অধিনায়ক মেহতাব, অভ্ররাও। —নিজস্ব চিত্র। |
আলাপচারিতার মাঝেই চোট-আঘাতের তালিকা নিয়ে নেন ফিজিওদের কাছ থেকে। জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বুধবার থেকে অনুশীলন শুরু করবেন। তার আগে আবাসিক শিবিরের জন্য পরিকাঠামো দেখতে ঘুরে আসবেন কল্যাণী।
শহরে পা দিয়েই এত পরিশ্রমে ক্লান্তি আসবে না? শুনেই চোয়াল শক্ত ফালোপার বলছেন, “ কোচকে ক্লান্ত হলে চলে না।” আর যুবভারতীর কৃত্রিম ঘাস? বা বর্ষায় কাদা প্যাঁচপ্যাঁচে মাঠ? নেইমারের ডান পায়ে জোরালো ভলির মতোই ফালোপার জবাব, “ব্রাজিলীয়রা ছাদ দিলে সেখানেও ফুটবল খেলতে পারে।”
জোশে ডুবুডুবু ফালোপা যখন নতুন মরসুমে সাফল্য ধরে রাখতে হোমওয়ার্কে মগ্ন ঠিক তখনই পাশের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের আস্তানায় এসে উঠলেন জাপানি ফুটবলার কাতসুমি। বুধবার বেশি রাতে শহরে আসেন তিনি।
|