শুরুতেই হোঁচট ফেভারিট টিমের। ট্রেন্টব্রিজে প্রথম টেস্টে কোনও ইংরেজ ব্যাটসম্যানই বড় রান পেলেন না প্রথম দিন। টস জিতেও ব্যাট নেওয়ার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। মেঘলা আবহাওয়ায় ঠিক যে রকম উইকেট অস্ট্রেলিয়া চাইছিল সেটাই পাওয়ায় আগুন ধরিয়ে দেন অজি পেসাররা। জেমস প্যাটিনসন, মিচেল স্টার্কের দুরন্ত বেলিংয়ের পাশাপাশি পিটার সিডল একাই পাঁচ উইকেট তুলে শুইয়ে দেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের। ৫৯ ওভারে ২১৫ রানে শেষ ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াও বড় ধাক্কা খায়। ৫৩ রানের মধ্যে ফিরে যান শেন ওয়াটসন (১৩), এড কাওয়ান (০), অধিনায়ক ক্লার্ক (০) ও ক্রিস রজার্স (১৬)। ফেরান স্টিভন ফিন আর জেমস অ্যান্ডারসন। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৭৫ রানে চার উইকেট।
ইংল্যান্ডের নতুন ওপেনিং জুটি অ্যালিস্টার কুক আর জো রুট প্যাভিলিয়নে ফেরেন লাঞ্চের আগেই। প্রথম সেশনে যে ভাবে সুইং করাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা, তাতে অন্তত দুটো উইকেট আশায় ছিলেন ক্লার্ক। এর মধ্যে অ্যালিস্টার কুকের উইকেটটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। গত অ্যাসেজ টুর্নামেন্টে ৭৬৬ রান করা কুক, যিনি নিজেই বলেছিলেন, ‘‘অ্যাসেজের পর ক্রিকেটার হিসেবে বদলে গিয়েছি’’ এ দিন ফেরেন ১৩ করে। রুটকে (৩০) ফেরান সিডল।
|
জোনাথন ট্রট (৪৮) আসার পর অস্ট্রেলিয়াকে পাল্টা চাপ দিতে শুরু করে ইংল্যান্ড। ঠিক এই সময় শুরু সিডল-রাজ। ট্রট, কেভিন পিটারসেন (১৪), ইয়ান বেল (২৫), প্রায়র (১)— কাউকেই বড় রান করতে দেননি অস্ট্রেলীয় পেসার। সিডল ঝড় শান্ত হতে না হতেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন মিচেল স্টার্ক। একা কুম্ভ বেয়ারস্টো-র (৩৭) মরিয়া লড়াই থামানোর পরের বলেই স্টিভেন ফিনকেও ফেরান তিনি। এই টেস্টেই অভিষেক হল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাস্টন আগরের। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ছ’ফুট চার ইঞ্চির ১৯ বছরের এই বাঁ হাতি স্পিনার শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভুত। তাঁর দাদু নলা হেওয়াউইসা ক্যান্ডিতে ধর্মরাজা কলেজের খেলেছেন। আগরের দাদুর নামে ক্যান্ডিতে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলে এখনও। ব্রিসবেনে গ্রেগ চ্যাপেলের অধীনস্থ সেন্টার অব এক্সেলেন্স-এর ছিলেন।
আগর গত জানুয়ারিতে শুরু করে মাত্র ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে অ্যাসেজে অভিষেক ঘটালেন। ট্রেন্টব্রিজে তাঁর হাতে ব্যাগি গ্রিন তুলে দেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। |
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২১৫ (সিডল ৫-৫০, প্যাটিনসন ৩-৬৯),
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৭৫-৪ (অ্যান্ডারসন ২-২৫, ফিন ২-৩৭)
|