|
|
|
|
গঢ়বালে নিখোঁজদের কোনও তালিকাই নেই রাজ্যের হাতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিখোঁজ পর্যটকদের মৃত বলে ঘোষণা করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সে রাজ্যের মুখপাত্র রবি বিজারনিয়া জানান, ১৫ জুলাই মৃতদের ওই তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু সেই তালিকায় এ রাজ্যের নিখোঁজ পর্যটকদের নাম থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, অন্য রাজ্যগুলি তাঁদের নিখোঁজ বাসিন্দাদের তালিকা পাঠানো শুরু করলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে তেমন কোনও তালিকাই নেই।
উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছিল, ১০ জুলাই পর্যন্ত যাঁরা নিখোঁজ থাকবেন, তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হবে। পরে তা পিছিয়ে ১৫ জুলাই করা হয়। সে রাজ্যের প্রশাসন সূত্রের খবর, অনেক জায়গাতেই ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরানো যায়নি। উদ্ধারও কিছু বাকি। সে কারণেই মৃতদের পুরো তালিকা প্রকাশের আগে আরও কিছু দিন হাতে নিচ্ছে তারা। তবে ইতিমধ্যে মৃতদের মোটামুটি একটা তালিকা তৈরি হয়েছে বলেই উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন।
উত্তরাখণ্ড সরকারের এক আধিকারিক জানান, নানা সংস্থা নিখোঁজদের আলাদা আলাদা পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদ থেকে উত্তরাখণ্ডে উদ্ধারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ভি কে দুগ্গল সেই সব পরিসংখ্যান মিলিয়ে এবং কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্দে এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীর কাছেও রিপোর্ট গিয়েছে। উত্তরাখণ্ড প্রশাসন সূত্রের খবর, ভি কে দুগ্গলের তৈরি করা ওই তালিকায় প্রায় পাঁচ হাজার নাম রয়েছে। শুধু উত্তরাখণ্ডের এক হাজারের বেশি বাসিন্দা নিখোঁজ। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা খুব কম করে ৩৫। |
|
চামোলির ভিকোনায় ধসের পর উদ্ধারকাজ। বুধবার। ছবি: পিটিআই। |
গঢ়বালে বিপর্যয়ের পরে রাজ্যের পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মদনবাবু ফিরে এসেছেন বেশ কিছু দিন আগে। এ রকম কোনও তালিকা যে উত্তরাখণ্ড সরকার চেয়েছে, সেটাই মদনবাবুর জানা নেই। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে যা করণীয়, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরই করবে।”
রাজ্যের প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান বুধবার বলেন, “এ রাজ্যের ৩৫ জনের খোঁজ মিলছে না বলে উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে।” তবে এই ৩৫ জন কারা, সে বিষয়ে মহাকরণের কাছে বুধবার পর্যন্ত কোনও তথ্য নেই।
উত্তরাখণ্ডের মুখপাত্র রবি বিজারনিয়া জানাচ্ছেন, পুরো তালিকা প্রকাশের জন্য প্রত্যেক রাজ্যকেই নিজেদের নিখোঁজ বাসিন্দাদের নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে তাঁর পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে লিখিত বিবৃতিও। যদিও জাভেদ খানের দাবি, “আমাদের এমন কিছু জানা নেই।” সেই সঙ্গে তালিকা না তৈরি থাকার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
মৃতদের পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। রাজ্য প্রশাসনের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, সময়ে তালিকা না পৌঁছলে নিখোঁজদের পরিবার ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে। উত্তরাখণ্ড সরকারের ক্ষতিপূরণও মিলবে না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিন্তু এখনও ক্ষতিপূরণ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “ক্ষতিপূরণ চেয়ে কেউ আবেদন জানাননি। আদৌ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, তা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন।”
|
পুরনো খবর: উদ্ধার শেষের পথে, এখনও নিখোঁজ ৩ হাজার |
|
|
|
|
|