|
|
|
|
গ্রেস হোম কাণ্ড |
মেয়েদের যৌন নিগ্রহ করত যাজক জ্যাকব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গত প্রায় ১০ বছর ধরে মণিপুরের উখরুলের মহিলা কর্মী ও উখরুল থেকে নিয়ে যাওয়া কিশোরীদের উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছে যাজক জ্যাকব জন। রাজস্থানের জয়পুরে জ্যাকবের ‘গ্রেস হোম’ থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১৩টি মেয়ের শরীরে গর্ভধারণের লক্ষণ রয়েছে। ৯ থেকে ২০ বছরের মেয়েদের উপরে জ্যাকবের এই অত্যাচারের কথা জানতে পেরে, উখরুল -সহ গোটা মণিপুরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জ্যাকবের শাস্তির দাবিতে চলছে আন্দোলন।
গত ২ মে নাগাল্যান্ড পুলিশ জয়পুর থেকে জ্যাকবকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় বহু কিশোর -কিশোরী। লেখাপড়া করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এদের রাজস্থান নিয়ে গিয়েছিল জ্যাকব। কিন্তু উদ্ধার হওয়া বাচ্চারা জানায়, তাদের ভাল করে খেতে দেওয়া হত না। মেয়েদের উপরে চলত অত্যাচার। অনেকের পা বেঁকে গিয়েছে। রাজস্থান থেকে দিল্লির দুই সংগঠনের হাত ঘুরে ছেলেমেয়েরা বাড়ি ফেরে। পুলিশ জ্যাকবকে জুন মাসে, এ বার মণিপুরে নিয়ে এসেছে।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে প্রথম উখরুলে আসে জ্যাকব। ১৯৯৯ সালে জয়পুরে ‘ফাদার গ্রেস হোম’ নামে একটি শিশু আবাস তৈরি করে সে। সেখানকার কর্মী, শিক্ষিকাদের মণিপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হত। ২০০৫ সাল থেকে উখরুলের একাধিক মহিলা কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে জ্যাকবের বিরুদ্ধে। সকলেই পরে গ্রামে ফিরে আসেন। কিন্তু ওই যাজকের সাজা হয়নি। এরপর দফায় দফায় মণিপুর থেকে বাচ্চাদের হোমে নিয়ে যেতে থাকে জ্যাকব। অভিযোগ, ছেলেদের আবাসে জ্যাকব যেতই না। থাকত মেয়েদেরই আবাসে। সেখানে নিয়মিত মেয়েদের উপরে অত্যাচার চালাত সে। আপত্তি করলে বেঁধে পেটানো হত। নিয়মিত খেতে হত যৌন ওষুধ। পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, একাধিক মেয়েকে গায়েব করেও দিয়েছে ওই যাজক।
উদ্ধার হওয়া ছেলেমেয়েদের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় উখরুল জেলা হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, তখনই জানা যায়, ছেলেদের উপরে যৌন নির্যাতন করা না হলেও, উদ্ধার হওয়া ১৩টি মেয়ের শরীরেই গর্ভ সঞ্চারের প্রাথমিক লক্ষ্মণ রয়েছে। যাজকের বিরুদ্ধে মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের মহিলা সংগঠনগুলি খড়্গহস্ত। পাশাপাশি, রাজ্যের ছেলেমেয়েদের ভিনরাজ্যে পাঠানোর বিরুদ্ধেও প্রচার চালানো হচ্ছে। |
|
|
|
|
|