|
|
|
|
চার গুণ বরাদ্দ বাড়ল উন্নয়নে |
সংখ্যালঘু ভোট -ব্যাঙ্কে নজর নীতীশ -সরকারের |
স্বপন সরকার • পটনা |
এনডিএ -র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে নীতীশ কুমারের ‘পাখির চোখ’ এখন সংখ্যালঘু ভোট -ব্যাঙ্ক।
সংখ্যালঘু নাগরিকদের কাছে সরকারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়তে তৎপর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংখ্যালঘু উন্নয়নে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন নীতীশ। দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী (২০১২ -১৩ থেকে ২০১৬ -১৭ ) পরিকল্পনায় ওই টাকা খরচ হবে। রাজনৈতিক ফায়দা তো বটেই, পাশাপাশি নাগরিকদের কাছে সরকারকে জনপ্রিয় করে তুলতেও এই পদক্ষেপ করছেন নীতীশ।
ওই টাকা খরচ করা হবে কেন্দ্রের এমএসডিপি প্রকল্পে ---এমনই পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ২০টি জেলার ৭৫টি ব্লক এবং ৮টি শহরকে এ জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে ওই প্রকল্পের কাজ হয় আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া, কাটিহার, পূর্ব চম্পারণ, সীতামঢ়ী এবং দ্বারভাঙার মতো ৭টি জেলায়। ওই প্রকল্পের জন্য ২১৯ কোটি খরচ ধরা ছিল। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় অনুদান ছিল ১৭৩ কোটি টাকা। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সম্মতি মিলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে এই খাতে কেন্দ্র ৩৩২ কোটি টাকা দেবে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকা খরচ করা হবে মূলত মাদ্রাসা, স্কুল এবং আর্থিক সাহায্য দিতে। পিছিয়ে থাকা জেলা এবং সেখানকারা বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের লক্ষ্যেই ওই অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে।
১৭ বছর জোটবদ্ধ থাকার পর, ১৬ জুন এনডিএ থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের মন জিততেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ। তাঁর ‘পাখির চোখ’ রাজ্যের ১৬ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটের দিকেই। আগামী লোকসভা নির্বাচনেই তাঁর ওই পদক্ষেপের অগ্নিপরীক্ষা হবে। বোঝা যাবে, নীতীশের এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে নীতীশের বোঝাপড়া হতে পারে ---এমন ধারণা রাজ্যের বিভিন্ন মহলে ছড়ালেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তেমন কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। এ নিয়ে নীরব নীতীশও। প্রশ্নের জবাবে তিনি শুধু বলেছেন, “আমি অবাক করে দেওয়ার মতো কাজ করতে পছন্দ করি। কিন্তু, সে সবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এতদিন নীতীশের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল। বর্তমানে তা বদলেছে এনডিএ -তে। রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কাছে লালু ‘ব্র্যান্ডেড ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে গ্রামের প্রবীণ সংখ্যালঘু মানুষেরা এখনও লালুর সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু নীতীশের এই পদক্ষেপের পর কমবয়সী ছেলেমেয়েরা তাঁর দিকে ঝুঁকতে পারেন।
তাঁদের ভোট পেতে সরকারি প্রকল্পকেই ‘অস্ত্র’ করছেন নীতীশ। |
|
|
|
|
|