টুকরো খবর |
কাজিরাঙায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অসমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বন্যার কবলে পড়েছিল ১৭টি জেলা। এখন চিরাং, ধেমাজি, লখিমপুর ছাড়া অন্য জায়গায় জল নেমেছে। যোরহাটের নেমাতিঘাটে ব্রহ্মপুত্র, শিবসাগরের নাঙালমুড়াঘাটে দেসাং, শোণিতপুর এনটি রোডে জিয়াভরালি ও বরপেটা রোডে বেকি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বন দফতর জানিয়েছে, কাজিরাঙায় কিছুটা জল জমেছে। তবে তা উদ্বেগজনক নয়। তাই ২৭ জুনের পর ফের সতর্কতা জারি করা হয়নি। গত বারের বন্যায় কাজিরাঙায় হাজারখানেক পশুপাখির মৃত্যু হওয়ায় এ বছর বাড়তি সতর্ক প্রশাসনা। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কাজিরাঙার আশপাশের গ্রামগুলিতে জনসচেতনতা শিবির করা হচ্ছে। পশু বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ জানান, বন্যায় ভেসে আসা পশুদের প্রথম উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরাই। কী ভাবে তাদের উদ্ধার করতে হয়, বাঁচিয়ে রাখতে হয়, কোথায় খবর দিতে হয়— সে সব নিয়েই অগরাতলি, কোহরা, বাগোরি ও বুড়াপাহাড় রেঞ্জের লাগোয়া গ্রামগুলিতে গ্রামবাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। কাজিরাঙার আশপাশের ১৮টি গ্রামকে অতি -সংবেদনশীল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বন্যা শুরু হওয়ার পরেই শিকারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। কাজিরাঙা থেকে কার্বি আংলং -এর পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়া কয়েকটি গন্ডার গত বার শিকারিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিল।
|
জঙ্গি বিস্ফোরণে চতরায় মৃত ১
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
চতরায় সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেড-এর (সিসিএল)কয়লা ওজন করার জায়গায় বিস্ফোরণে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন পিএলএফআই -এর জড়িত বলে দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার রাতে পিপরওয়ার থানা এলাকায় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ জানায়, খনি থেকে তোলা কয়লা ওজন করার জন্য সেখানে সিসিএল -এর কাটাঘর রয়েছে। ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ১২ জন কর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশ জানায়, মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সে জঙ্গিদলেরই সদস্য। বিস্ফোরক রাখতে গিয়েই সেটির বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই সময় সেখানে লোকজন কম ছিল। বিস্ফোরণে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বারুদের গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
|
মণিপুরে বন্ধ, অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
৩৬ ঘণ্টার বন্ধের পর শুরু হল দু’দিনের অর্থনৈতিক অবরোধ। পৃথক কুকি রাজ্যের দাবিতে গঠিত যৌথ মঞ্চের ডাকে এ ভাবেই কার্যত অচল মণিপুরের কুকি অধ্যূষিত জেলাগুলি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বন্ধ শেষ হওয়ার পর, আজ থেকে ইম্ফল -উখরুল রোড, ইম্ফল -জিরিবাম -তামেংলং রোড, ইম্ফল -ডিমাপুর রোড, ইম্ফল -মোরে রোডে শুরু হয়েছে অবরোধ। রাস্তায় আটকে পড়েছে প্রচুর পণ্যবাহী ট্রাক। অধিকাংশ বাজারেই নিত্যপ্রযোজনীয় জিনিসপত্র মিলছে না। বেশিরভাগ সরকারি দফতর খালি, বন্ধ স্কুলও। যৌথ মঞ্চের মুখপাত্র সেইপাও হাওকিপ বলেন, “কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করা এবং পৃথক রাজ্য গঠন প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছে।” রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাইখংবাম আন্দোলনকারীদের অবরোধ প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ এবং সরকারের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলে ফল খারাপ হবে। সরকার কোনওভাবেই মণিপুর ভেঙে নতুন রাজ্য গঠন করবে না। সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতেও এমন শর্ত ছিল না। সংঘর্ষবিরতিতে থাকা কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দেবে রাজ্য।” গাইখংবাম আরও জানান, জঙ্গি সংগঠন কেসিপি -এমসি (লাল্লুম্বা) গোষ্ঠীর প্রধান লাল্লুম্বা বর্তমানে রিম্স হাসপাতালে ভর্তি। তিনি দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন।
|
নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে মৃত এক
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মেঘালয়ে নির্মীয়মান একটি সেতু ভেঙে মৃত্যু হল পূর্ত দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ারের। জখম হয়েছেন ১৬ জন। আজ পূর্ব গারো হিল জেলার কোলমেসাগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, সেতু তৈরির কাজের তদারকি করছিলেন লেমিংসটন মারাক নামে ওই প্রযুক্তিবিদ। তখনই নির্মীয়মাণ ওই সেতুটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়া সেতুর ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে যান মারাক -সহ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মারাককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পূর্ব গারো হিলের জেলাশাসক বিজয়কুমার মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
সস্ত্রীক ধৃত জওয়ান
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
হেরোইনসহ ধরা পড়লেন আসাম রাইফেল্স -এর এক জওয়ান ও তাঁর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মেঘালয়ে। পুলিশ জানায়, আগাম খবর পেয়ে পূর্ব খাসি হিলের পুলিশ, মাদানরিটিং এলাকার থেম্বাসুক থেকে নাজির খান ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার করে। তল্লাশিতে তাঁদের কাছ থেকে ১০১ গ্রাম হেরোইন মেলে। দু’জনেরই বাড়ি মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায়।
|
মুলায়মের হুঙ্কার, মোদীকে ভয় পাই না
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আগামী লোকসভা ভোটে দল কবে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করবে তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে বিজেপি -তে। কোন লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি লড়বেন তা নিয়েও ডাকাডাকি চলছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও অন্যান্য রাজ্য থেকে। দলের একটি বড় অংশ চায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর লখনউ কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে দাঁড়ান মোদী। আজ সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব জানিয়ে দিলেন, “আসুক মোদী উত্তরপ্রদেশে। আমি ডরাই না।” মোদী এই রাজ্য থেকে লড়লে ভোটব্যাঙ্কের মেরুকরণ থেকে ফায়দা মিলবে বলে বিজেপি -র আশা। বিজেপির মতোই উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল করে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মুলায়মও। তিনি মনে করেন, বিজেপি -র পরিকল্পনা খাটবে না। তাঁর কথায়, “রাজ্যের মানুষ মেরুকরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষেরা কখনই ধর্মের ভিত্তিতে বিজেপি -কে ভোট দেবেন না।”
|
গৃহহীনদের নৈশাবাস গড়ছে রামকৃষ্ণ মিশন |
রাজধানীর গৃহহীনদের জন্য নৈশ আবাস গড়ার কাজে হাত দিল দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশন। মঙ্গলবার ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। ওই আবাসন নির্মাণে দিল্লির রোহিণী এলাকায় মিশনকে জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। দিল্লি রামকৃষ্ণ মিশনের সচিব স্বামী শান্তাত্মানন্দ বলেন, “ওই ভবন নির্মাণে দিল্লি শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ড ৮২৪ বর্গ ফুট জমি মঞ্জুর করেছে।” প্রাথমিক ভাবে ওই জমিতে একটি তিনতলা আবাসন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশন। যেখানে শীতের সময় ৪০০-৪৫০ জন গৃহহীন ও গরিব মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। মিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ভবনটি নির্মাণের কাজ শেষ করতে চাইছেন তাঁরা।
|
কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যপালের |
ঝাড়খণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদ। রাজভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রাজ্যপালের চিঠি ফ্যাক্স করে পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেসের সমর্থনে রাজ্যে বিকল্প সরকার গঠনের আর্জি নিয়ে মঙ্গলবারই রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো শিবু সোরেন। জানুয়ারি মাসে আগের সরকারের পতনের পর বিধানসভা মুলতুবি রেখে এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিল কেন্দ্র। রাজ্যপালের প্রধান সচিব এন এন সিংহ জানান,
দিল্লির জবাব পাওয়ার পরই রাজ্যপাল নতুন সরকারের শপথের দিন ঠিক করবেন।
|
সংঘর্ষে হত জওয়ান, মৃত্যু ৫ জঙ্গিরও |
সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত এক ভারতীয় জওয়ান। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায়। অন্য দিকে বুধবারই কুপওয়ারা সীমান্ত সংলগ্ন ফুরকিয়ান গালি অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধে মৃত্যু হল পাঁচ জঙ্গির। সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন যুবককে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে বাধা দিতে যান সেনা অফিসাররা। তখনই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচ জনের।
|
ব্যাঙ্কে আগুন |
অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হল কিছু কম্পিউটার, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। গত রাতে ঘটনাটি ঘটে দিসপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। দমকল জানিয়েছে, রাত ১১টা নাগাদ আগুন লেগেছিল। ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
কমেছে তীর্থযাত্রী |
পাথুরে কঠিন রাস্তা। সঙ্গে যোগ হয়েছে জঙ্গি হানার ভয়। ফলে এ বছর অমরনাথে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই কম। অন্তত জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের পরিসংখ্যানে এমন তথ্যই মিলেছে। তার উপরে ১৫ জুন উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে প্রাণ হারিয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। নিখোঁজ পাঁচ হাজারের বেশি। সব কিছু মিলিয়ে বর্ষার সময়ে দুর্গম রাস্তায় যেতে এমনিতেই ভয় পাচ্ছেন তীর্থযাত্রীরা। সরকারি সূত্র মতে, গত বছর যাত্রা শুরুর ৯ দিনের মাথায়ই তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেখানে এ বছর, প্রথম ৯ দিনে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা মাত্র ২০ হাজারের কাছাকাছি।
|
জবাব তলব |
শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় সিবিআই ও কংগ্রেস নেতা সজ্জনকুমারের কাছে জবাব তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট। ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গায় অন্যতম অভিযুক্ত সজ্জন কুমারকে একটি মামলায় গত ৩০ এপ্রিল বেকসুর খালাস করে দেয় দায়রা আদালত। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার এর পরেই হাইকোর্টে আবেদন জানায়, নিম্ন আদালতের রায়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ২৭ অগস্টের মধ্যে সিবিআই ও সজ্জন কুমারকে তাদের জবাব আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
|
ধসে মৃত ২ |
একটানা বৃষ্টির জেরে মুম্বইয়ের অ্যান্টপ হিলে ধস নেমে মৃত্যু হল দু’জনের। আটক আরও ৪ জন। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল আটটা নাগাদ। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই ৪০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। |
|