রেলের প্রকল্পের কৃতিত্ব একক ভাবে কোনও মন্ত্রীর উপর বর্তায় না বলেই মনে করেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। কলকাতা মেট্রোর জন্য তাই আগের রেলমন্ত্রীদেরও কৃতিত্ব দিতে চান তিনি।
নবনির্মিত নোয়াপাড়া স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে বুধবার অধীরবাবু বলেন, “রেলের কাজে কারও একার কৃতিত্ব নেই। সবাই মিলে কাজ করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।” তাঁর কথায়, এক এক জন রেলমন্ত্রী এক একটি পরিকল্পনা করেন। উত্তরসূরিরা তা এগিয়ে নিয়ে যান। তাই কলকাতা মেট্রোর ক্ষেত্রেও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবাই প্রশংসার দাবি রাখেন।
তবে মেট্রোর অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না মেট্রো। নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর, ব্যারাকপুর, বারাসত যেখানেই এগোতে যাওয়া হচ্ছে সেখানেই জবরদখল।” তাঁর দাবি, ‘‘প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিয়ে অন্যত্র সরাতে হবে।” |
নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন উদ্বোধন হচ্ছে জেনে এ দিন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা নোয়াপাড়ার সব এলাকায় এই প্রকল্পের কৃতিত্ব প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর বলে ব্যানার-পোস্টার লাগান। সকাল থেকে নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের গেটে মঞ্চ বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান ও জয়ধ্বনিও দেওয়া হয়। বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে বাড়ানো হয় পুলিশি প্রহরা।
সম্ভবত এই কারণে প্রথম থেকেই একটু সুর চড়িয়েছিলেন অধীরবাবু। জানান, তিনি এখানে কোনও কৃতিত্ব প্রতিযোগিতা করতে আসেননি। মন্ত্রী হিসেবে শুধু উত্তরসূরির কাজটি উদ্বোধন করতে এসেছেন। অধীরবাবু এ দিন কেন্দ্রের কাজকর্ম নিয়েও বলেন, ‘‘রাজ্য কেন, কেন্দ্রেরও দায়িত্ব আছে। জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রোর জন্য বেশ কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও জাহাজ মন্ত্রকের অনুমতি ও হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কিন্তু হচ্ছে না।’’
|