স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু হল রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্তান কেবল্স হাইস্কুলে। মঙ্গলবার থেকে স্কুলে আসতে শুরু করে পড়ুয়ারা। গত ২৬ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজের জন্য স্কুলটি নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু ভোট পিছিয়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে স্কুল ফেরত দেওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ফলে এক মাসেরও বেশি স্কুল বন্ধ থাকার উপক্রম হয়েছিল। এই অবস্থায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে পঠনপাঠন শুরুর জন্য স্কুলটি ফেরত চান। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। এরপরেই মঙ্গলবার থেকে স্কুলটি চালু হয়। তবে ১৫ জুলাই বর্ধমানে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তখন ডিসিআরসি ও ভোট গ্রহণ কেন্দ্র হিসাবে স্কুলটি ব্যবহার করার জন্য নেওয়া হবে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষও কোনও আপত্তি জানাননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ বিশ্বাস জানান, পঠনপাঠন শুরু হওয়ায় ছাত্র ও শিক্ষকেরা সন্তুষ্ট।
পুরনো খবর: ভোট পিছোলেও স্কুল ভবন প্রশাসনেরই হাতে, ক্ষোভ
|
অণ্ডালে প্রস্তাবিত বিমাননগরীর জমির লিজ-চুক্তি নিয়ে জট কাটতে চলেছে। তবে কথা থাকলেও বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে কোনও রিপোর্ট দেয়নি মন্ত্রিগোষ্ঠী। মহাকরণের খবর, বিমাননগরীর লিজ জমি বা আবাসন যাঁদের কাছে বিক্রি করা হবে, তাঁদের কাছ থেকে ‘ফি’ নেওয়ার কথা ভেবেছিল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে বিমাননগরীর মূল অংশীদার সংস্থা প্রশ্ন তুলেছিল, একটি জমির জন্য এক বার সরকারকে ৮% স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়েছে। সেই জমির জন্য ‘অ্যাসাইন ফি’ হিসেবে আবার ১০% অর্থ দিতে হবে কেন? সরকার এবং অংশীদার সংস্থার মধ্যে মূল বিরোধও ছিল এই নিয়েই। এ দিন মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে ঠিক হয়, ওই ‘ফি’ নেওয়া হবে না। তবে সেটা পুরো, না আংশিক ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া আগে সরকারের বক্তব্য ছিল, লিজ জমি বিক্রি করার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। অংশীদার বেসরকারি সংস্থা তা মানতে চায়নি। এই বিষয়ে মন্ত্রিগোষ্ঠীর সিদ্ধান্ত খোলসা করে জানানো হয়নি। সরকারের এক মুখপাত্র জানান, বিমাননগরীর জমি নিয়ে জটিলতা কাটাতেই মন্ত্রীগোষ্ঠী তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সেই গোষ্ঠীর বৈঠকে অণ্ডাল নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে শিল্প দফতর। মন্ত্রিগোষ্ঠীর কয়েক জন সদস্য জানান, অণ্ডাল প্রকল্পের সমস্যা মিটতে চলেছে।
পুরনো খবর: কপ্টারেই আজ যাত্রা শুরু অণ্ডালের
|
নির্দল প্রার্থীর প্রচারের ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়া পঞ্চায়েতের ১৮২ নম্বর সংসদ এলাকায়। তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত ওই নির্দল প্রার্থী শঙ্কর শর্মা জানান, দলের নেতাদের কথাতেই মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তিনি। কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে না বলায় তা করেননি। নির্দল হিসেবে লড়াইয়ে থেকে গিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, বেশ কিছু দিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশিস কর্মকারের নেতৃত্বে তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে তাঁর ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। পরে বুধবার সকালে তিনি উখড়া পুলিশ আউটপোস্টে অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল নেতা আশিসবাবু অবশ্য বলেন, “নির্দল প্রার্থী হয়ে তৃণমূল কর্মী হিসেবে ভোট চাইছেন শঙ্করবাবু। আমরা শুধু প্রচারে বেরিয়ে সেই দাবি করতে বারণ করেছি তাঁকে। এ ছাড়া তাঁর অন্য সব অভিযোগ মিথ্যা।”
|
চার সিপিএম কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়ার পাথরচূড় গ্রামের বাউরিপাড়া ও গরাইপাড়ায়। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক মনোজ দত্ত অভিযোগ করেন, ওই এলাকায় তাঁদের প্রার্থী ফাল্গুনী বাউড়ির বাড়ির আশপাশেই বাস করেন দলের কর্মী সুধীর বাউড়ি, দিলীপ বাউড়ি ও মঙ্গল বাউড়িরা। ওই রাতে সুধীরবাবুদের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে তৃণমূলের লোকজন। আওয়াজ শুনে পড়শিরা বেরোলে সেখান থেকে দুষ্কৃতীরা চলে যায় গরাইপাড়ায়। সেখানে সিপিএম সমর্থক লক্ষ্মণ মণ্ডলের বাড়ির জানলা ভাঙে। তবে মূল দরজা চেষ্টা করেও ভাঙতে না পারায় ভিতরে ঢুকে হামলা চালাতে পারেনি ওই দুষ্কৃতীরা। গালিগালাজ করে সেখান থেকে ফিরে যায় তারা, অভিযোগ মনোজবাবুর। তিনি জানান, তাঁদের কর্মীরা বুধবার সকালে জামুড়িয়া থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
একশো দিনের কাজ না মেলার অভিযোগ তুলে খান্দরা পঞ্চায়েতের কয়েকশো বাসিন্দা ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন বুধবার। তাঁদের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েতে প্রায় ২৩০০ মানুষের জবকার্ড রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার কিছু দিন আগে একশো দিনের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের জনা তিনশো কর্মী-সমর্থক কাজ পেয়েছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। বিডিও-র অনুপস্থিতিতে তাঁরা জয়েন্ট বিডিও-র হাতে তুলে দেওয়া স্মারকলিপিতে দাবি করেন, দলমত নির্বিশেষে কাজ দিতে হবে, নতুবা বেকার ভাতা দিতে হবে। ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
|
নিত্যানন্দ দাস ও কৃষ্ণ প্রসাদ স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় বুধবার বিজয়ী হল মেমারি এফএ। আসানসোল রেল মাঠে তারা এ দিন রামনগর আদিবাসী এফসি-কে টাইব্রেকারে ৭-৬ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ২-২।
|
গোপালনগর সিসি আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতায় বুধবারের খেলায় জয়ী হল কল্যাণপুর এফসি। গোপালনগর মাঠে তারা নেতাজি সঙ্ঘকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয়। |