ঠিক ছিল ভোট হবে ২ জুলাই। সেই মতো স্কুল ভবন হাতে নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু সূচি পাল্টেছে। নতুন নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ভোট পিছিয়ে গিয়েছে ১৩ দিন। কিন্তু ভবন স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে ফেরায়নি প্রশাসন। ফলে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পঠনপাঠন বন্ধ থাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্তান কেবল্স উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সালানপুর ব্লকে ডিসিআরসি এবং ভোট গণনাকেন্দ্র তৈরির জন্য রূপনারায়নপুরের ওই স্কুলটি নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সুভাষ বিশ্বাস জানান, ২৬ জুন মহকুমা প্রশাসন ভবনটি হাতে নিয়েছে। তখন থেকেই স্কুলে পড়াশোনা বন্ধ। আগের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ভোট হলে ১৮ জুলাই স্কুলটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী বর্ধমান জেলায় ভোট হবে ১৫ জুলাই। ফল বেরোবে ২৯ জুলাই। মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভবন প্রশাসনের হাতেই থাকবে। |
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, গণনা শেষের আগে স্কুল ছাড়া না হলে পঠনপাঠন টানা এক মাসের বেশি বন্ধ থাকবে। প্রধান শিক্ষক জানান, ছাত্রেরা ইউনিট পরীক্ষায় বসতে পারছে না। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ষান্মাষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। তার আগে স্কুলে পড়াশোনা করানো যাচ্ছে না। এমনকী পাঠ্যসূচিও শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক সুভাষবাবুর অভিযোগ, “ভোটের নতুন দিন স্থির হওয়ার পরেই আমি ব্লক প্রশাসনকে স্কুল ভবনটি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু আমার আবেদন শোনা হয়নি।” তাঁর আরও দাবি, ভোট গ্রহণের সাত দিন আগে স্কুল নিলে মাঝের এই সময়ে পড়াশোনা করানো যেত। একই মত অভিভাবকদেরও। অবনী চট্টোপাধ্যায়, সন্তোষ মণ্ডলদের বক্তব্য, “ভোটের নতুন দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই ভবনটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফেরানো উচিত ছিল। এ ভাবে পড়াশোনা বিঘ্নিত হওয়া উচিত নয়।”
ভোট পিছিয়ে যাওয়ার পরেও ভবন কেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফেরানো হল না, এই প্রশ্নে মহকুমাশাসক অমিতাভবাবু জানান, তিনি এ সব কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, “মাঝের কয়েকটি দিন স্কুল ভবন ফিরিয়ে দিলে কোনও ক্ষতি হত না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |