চন্দননগরে ভয়াবহ ভাঙনের পরে টনক নড়ল। নদীর পাড়ে বাড়ি তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে রাজ্য সেচ দফতর। মঙ্গলবার মহাকরণে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ার কথাও এ দিন ঘোষণা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “নদীপাড়ে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা হবে। সে জন্য সেচ দফতর থেকে একটি কমিটি তৈরি করা হবে। এই কমিটিতে থাকবেন জিওলজিক্যাল সার্ভের বিশেষজ্ঞ, সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট জনেরা। এ ব্যাপারে নির্দেশিকা তৈরি করবে ওই কমিটি।” মন্ত্রী জানান, নদী থেকে কত দূরে বাড়ি তৈরি করা যাবে, সেটা ওই কমিটিই নির্ধারণ করে দেবে। শনিবার চন্দননগরে তিনটি বড় বাড়ি নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য সেচ দফতর। মন্ত্রী নিজে গিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করে আসেন। এর পরেই গঙ্গা ও নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বেআইনি বাড়ি নির্মাণের তালিকা তৈরি করতে পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। |
চন্দননগরের হাটখোলায় গঙ্গার ভাঙনে বিপন্ন বাড়ি। —নিজস্ব চিত্র। |
চন্দননগরে গিয়ে গঙ্গাপাড় থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগও পান মন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই সেচ দফতরকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন মহাকরণে সেচমন্ত্রী জানান, নদীর ধারের বালিও আর যথেচ্ছ তোলা যাবে না। রাজীববাবু বলেন, “এখন থেকে নদী থেকে বালি তুলতে সেচ দফতরের আগাম অনুমতি লাগবে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এত দিন বালি তোলার জন্য জেলাশাসকদের অনুমতি নিলেই চলত।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, চন্দননগরের ঘটনার পরে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাজ্যে অনেক জায়গায় নদী বা খালের ধারে বেআইনি ভাবে যথেচ্ছ নির্মাণকাজ হয়েছে। মন্ত্রীর অভিযোগ, বাম আমলেই মূলত এই সব বেআইনি কাজ হয়েছে। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই ভাটপাড়া, উত্তরপাড়া, কোন্নগর, চন্দননগর-সহ বিভিন্ন পুরসভাকে আমরা বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছি।”
|