খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করার পরে এই সংক্রান্ত বিলটি এ বার সংসদে পাশ করাতে হবে মনমোহন সিংহের সরকারকে। সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই বিলটি পেশ করতে চায় সরকার। কিন্তু তার আগে একটি বিষয়ে সতর্ক থাকছে তারা। তা হল, বিজেপি-সহ বিরোধীরা যাতে বিলটি পাশ করানোর ব্যাপারে বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে বা প্রস্তাবিত বিলে সংশোধন এনে কৃতিত্ব নিতে না পারে। তাই সংসদের অধিবেশন বসার আগেই খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পটি নিয়ে দলকে আগ্রাসী প্রচারে নামাতে চাইছেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী। তাঁদের কৌশল হল, প্রকল্পটি নিয়ে প্রচারকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাতে কেউই এর বিরোধিতা করার ঝুঁকি না নেয়। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, এই জন্যই সব প্রদেশ সভাপতি এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে শনিবার দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চান সনিয়া গাঁধী।
অর্থনীতিকদের একাংশ খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প নিয়ে সরব হলেও লোকসভা ভোটে একেই তুরুপের তাস করতে চাইছে কংগ্রেস। সে কারণেই প্রকল্পটির প্রচারে জোর দিতে চাইছে তারা। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, বর্তমান বিলের খসড়া নিয়ে বিজেপি ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিলটি কৃষক-বিরোধী বলে আপত্তি করছেন মুলায়ম সিংহ। অবার বামেরা সর্বজনীন গণবণ্টন ব্যবস্থার কথা বলছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস যাবতীয় কৃতিত্ব নিজেদের ঘরে তুলতে মরিয়া।
অকংগ্রেসি রাজ্যগুলি খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প কতটা সুচারু ভাবে রূপায়ণ করবে, তা নিয়ে কংগ্রেসের মনে সংশয় রয়েছে। তাই কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলিতে সুষ্ঠু ভাবে প্রকল্পটি রূপায়ণের চেষ্টা করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী কে ভি টমাস আজ জানান, ২০ অগস্ট রাজীব গাঁধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকল্পটি শুরু করা হবে।
|