টুকরো খবর
উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা ত্রিপুরা কংগ্রেসের
ভিনরাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টাডি সেন্টার’-এর সার্টিফিকেট বৈধ বা অবৈধ বলে ঘোষণার ক্ষমতা নেই রাজ্য সরকারেরএমনই দাবি করলেন ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতা রতনলাল নাথ। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ওই ক্ষমতা একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার অথবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের রয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ভানুলাল সাহা জানিয়েছিলেন, ভিন্রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টারগুলি থেকে ২০১১ সালের ৩০ মার্চের পর থেকে যে সব সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, সে গুলিকে বৈধ বলে স্বীকার করবে না রাজ্য সরকার। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের জেরে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অযথা ‘বিভ্রান্তি’ ছড়িয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কীসের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার ওই ঘোষণা করল? ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্টাডি সেন্টার থেকে যাঁরা সার্টিফিকেট পেয়েছেন সে গুলিকে স্বীকৃতি দিতেই হবে সরকারকে।”

নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জঙ্গিদের
জঙ্গি সংগঠনের কমরেডদের পুনর্বাসনের জন্য দেওয়া সরকারি বরাদ্দের প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও তাদেরই শীর্ষ নেতা। এমনই অভিযোগ তুলেছে মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন কেসিপি-এমসি (লাল্লুম্বা গোষ্ঠী)। প্রতারণার দায়ে সংগঠনের সভাপতি হিতেন্দ্র ওরফে লাল্লুম্বাকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেংবাম রামানন্দের দাবি, জঙ্গিদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার ১ কোটি ৯২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮০০ টাকা দিয়েছিল। ব্যাঙ্ক থেকে পুরো টাকা তুলে নিয়ে লাল্লুম্বা পালিয়েছেন। সংগঠনের পলিটব্যুরোর ১০ সদস্যের নামে ব্যাঙ্কে মজুত ৩৭ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা এবং দলের অন্য সদস্যের অ্যাকাউন্টের টাকারও হদিশ মিলছে না। ৯ জুন থেকে সপরিবার নিখোঁজ হন লাল্লুম্বা। সঙ্গী ৩ দেহরক্ষী। ওই জঙ্গি গোষ্ঠী কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করেছে। শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়াও চলছে। বর্তমানে সংগঠনের সদস্যরা রয়েছে ৭ মণিপুর রাইফেল্সের অস্থায়ী শিবিরে।

মহার্ঘ ভাতা বাড়ল ৫ শতাংশ
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও এক কিস্তি মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ঘোষণা করল ত্রিপুরা সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বর্তমানে কর্মচারীরা যে হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন, এ বার তার থেকে আরও ৫ শতাংশ বেশি পেতে চলেছেন। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে গত ১ জুলাই থেকে। আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি কর্মচারী ছাড়াও, রাজ্য সরকারের অধিগৃহীত সংস্থার কর্মীদের জন্যও একই সিদ্ধান্ত কাযর্কর হবে।

যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত মন্ত্রী ধৃত মধ্যপ্রদেশে
যুবক পরিচারককে যৌন নিগ্রহের দায়ে অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী রাঘবজিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল পুলিশ। সম্প্রতি রাঘবজির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন এক যুবক। অভিযোগ, মন্ত্রী রাঘবজী ও তাঁর সঙ্গীরা যৌন নিগ্রহ করতেন ওই যুবককে। বক্তব্যের সপক্ষে একটি সিডি পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। রাঘবজি এবং আরও কয়েক জন যুবকের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন, তা ওই সিডি-র ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগের পর গত শুক্রবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন রাঘবজি। বিজেপি থেকে বহিষ্কারও করা হয় তাঁকে। তার পর থেকেই সপরিবার গা ঢাকা দেন। সোমবারই অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন তিনি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানই রাঘবজিকে রক্ষা করছেন, এমন অভিযোগও তোলেন রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়কেরা। রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এফআইআরের ৪০ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী। তাই গাফিলতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাঘবজির ঘনিষ্ঠদের অবশ্য দাবি, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে লালুর স্বস্তি
লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে পশুখাদ্য মামলার রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে অর্ন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৫ জুলাই ঝাড়খণ্ডের সিবিআই আদালতে ওই মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ৩০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে লালুর বিরুদ্ধে। সেই মামলারই শুনানি চলছিল সিবিআই আদালতে। লালুর অভিযোগ, সিবিআই আদালতের বিচারপতি প্রভাস কুমার বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ। মামলার শুনানির ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন তিনি। এর পরই লালু দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের। হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দিলে সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। মঙ্গলবার বিচারপতি পি সদাশিবমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, আগে লালুর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হোক, তার পরই এই মামলার শুনানি শুরু করতে পারবে ওই আদালত। এই বিষয়ে তদন্তের জন্য সিবিআই ও ঝাড়খণ্ড সরকারকে দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছে বেঞ্চ।

পুরনো খবর:

বেড়েছে দুর্নীতি
১০৭টি দেশের ১ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল একটি সংস্থা। তাঁদের ৫৩ শতাংশ এবং ভারতীয়দের মধ্যে ৭০ শতাংশের মত, গত দু’বছরে ভারতে দুর্নীতি বেড়েছে। দুর্নীতি রুখতে সরকার যথেষ্ট তৎপর নয় বলেও মত ৬৮ শতাংশ ভারতীয়র।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.