অবিভক্ত বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীজগন্নাথ মিশ্র ও লালুপ্রসাদ আজ রাঁচির সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করালেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সিবিআইয়ের আইনজীবীদের সঙ্গে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সওয়াল-জবাব শুরু হয়। তার পর বিশেষ আদালতের বিচারকের সামনে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করার কাজ শেষ করতে বেলা প্রায় সাড়ে তিনটে বেজে যায়।
স্বাভাবিক ভাবেই বিহারের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে রাঁচির সিবিআই আদালত চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আজ জোরদার করা হয়। আদালত কক্ষের দরজায় মোতায়েন ছিল ব্ল্যাকক্যাট কম্যান্ডো। সওয়াল-জবাব শেষে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই লালুপ্রসাদ বলেন, “বিচার ব্যবস্থার উপরে আমার বিশ্বাস এবং আস্থা আছে। সত্যেরই জয় হবে।” দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীদের দাবি, তাদের মক্কেলরা নির্দোষ। তাঁদের অপদস্থ করার জন্য চক্রান্ত করে এফআইআর-এ তাঁদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। |
রাঁচির সিবিআই আদালতে জগন্নাথ মিশ্র ও লালুপ্রসাদ (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই |
বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ১৯৯৬ সালে। অবিভক্ত বিহারের একাধিক জেলার ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য-সহ পশুপালন দফতরের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিভিন্ন সংস্থার নামে ভুয়ো বিল পেশ করার অভিযোগ ওঠে। এই কায়দায় প্রায় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি কয়েকটি জেলার ট্রেজারি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে অবিভক্ত বিহারের পশুপালন দফতরের পদস্থ কয়েকজন আধিকারিক, কয়েকটি জেলার ট্রেজারি অফিসার এমনকী রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রাসাদ যাদব এবং জগন্নাথ মিশ্রের বিরুদ্ধেও। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন আদালতে এ সংক্রান্ত একাধিক মামলা ঝুলছে কিংবা নিষ্পত্তি হয়েছে। একাধিক অভিযুক্তকে আদালত কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, চাইবাসা ট্রেজারির পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় লালুপ্রসাদ এবং জগন্নাথ মিশ্রকে আজ রাঁচির বিশেষ আদালতে হাজির হতে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আছে চাইবাসা ট্রেজারির ৩৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অভিযুক্তদের বয়ান রেকর্ড করছে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত।
|