নির্বাচন কমিশনের কাছে ‘দুঃখপ্রকাশ’ করে বিতর্কে ইতি টানলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। চিঠি পাওয়ার পর আজ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও ‘গোটা বিষয়টি মিটে গিয়েছে’ বলে জানানো হয়।
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনগ্রসর শ্রেণির মুসলমানদের সংরক্ষণের কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। খুরশিদের ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের কাছে অভিযোগ জানায়। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন চলাকালীন বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি বিষয়টিকে প্রচারের হাতিয়ার করে। শেষে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের নির্দেশে দুঃখপ্রকাশ করেন খুরশিদ। গত কাল রাতেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে তিনি জানান, “গোটা বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক ও অনভিপ্রেত। আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার কোনও লক্ষ্যই আমার ছিল না। গোটা বিষয়টিতে আমি দুঃখিত। আমি ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, এ ধরনের কোনও ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না।”
ওই চিঠির কথা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরে এখন নির্বাচন কমিশনও গোটা বিষয়টিতে ইতি টানতে চাইছে।
কংগ্রেসের তরফে অবশ্য এখনও বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে, খুরশিদ রাজনৈতিক ভাবে কোনও ভুল করেননি। বরং কমিশনই এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিল বলে আজ প্রকাশ্যে জানান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। তাঁর যুক্তি, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দলের কর্মসূচির কথা বলতেই হবে। দিগ্বিজয় আজ যা-ই বলুন, কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলির লাগাতার সমালোচনায় বেকায়দায় পড়ে যায় কংগ্রেস। খুরশিদের চিঠির বয়ান কী হবে, তা নিয়ে গত কাল রাতে বৈঠকে বসেন দলীয় নেতৃত্ব। ঠিক হয়, খুরশিদ এমন ভাবে বয়ান দেবেন, যাতে তিনি যে ভুল করেননি, সেই বার্তাও প্রচ্ছন্ন থাকে। চিঠির বয়ানেও দেখা যায়, খুরশিদ কোথাও সরাসরি স্বীকার করেননি যে তিনি কোনও ভুল করেছিলেন। কেবল গোটা বিতর্কটি দুর্ভাগ্যজনক বলে দুঃখপ্রকাশ করে এড়িয়ে গিয়েছেন।
বিজেপি অবশ্য এত সহজে বিষয়টি ছেড়ে দিতে রাজি নয়। দলের নেতা বলবীর পুঞ্জ এ দিন বলেন, “খুরশিদ যে মন্তব্য করেছেন, তাতে শুধু দুঃখপ্রকাশ করলেই বিতর্কটি মিটে যায় না। তাঁকে জনগণ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাঁকে বরখাস্ত করা হোক।” আদর্শ আচরণবিধির আইনি স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কংগ্রেস আপাতত বিতর্কে জল ঢেলে দিতে চাইছে। দলের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, “খুরশিদ দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
সুতরাং দলের কাছেও বিষয়টি মিটে গিয়েছে।” |