কসবায় শিক্ষিকা সুলোচনা চারির খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে দু’দিন পরেও ধন্দে গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, আততায়ীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বৃদ্ধার হাত মুচড়ে যায়। শ্বাসরোধের পরে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে একাধিক বার মাথা ও গলায় ধারালো অস্ত্রে আঘাত করা হয়েছে। সুলোচনাদেবীর গলার নলির উপরে অস্ত্র দিয়ে গর্ত করার চিহ্ন মিলেছে। গলা, মাথা ও ঘাড়ে এমন প্রায় সাতটি ক্ষত মিলেছে। অনুমান, সব্জির খোসা ছাড়ানোর যন্ত্র দিয়ে ওই গর্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সুলোচনাদেবীর তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও একটি ব্যাঙ্ক লকারের খোঁজ মেলে। তার একটি পেনশন আ্যকাউন্ট বলে গোয়েন্দারা জানান। তাঁদের দাবি, একটিতে প্রায় সাত লক্ষ টাকা আছে। বাকি দু’টিতে কয়েক হাজার টাকা আছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।
গোয়েন্দাদের দাবি, সামনের বাড়ির একটি পরিবার ছাড়া পড়শিদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না ওই শিক্ষিকার। সুলোচনাদেবীর পরিচারিকাকে জেরা করা হচ্ছে। শনিবার শেষ বার তিনি ওই আবাসনে কাজ করেন। ওই দিন বিকেলে সুলোচনাদেবীর এক ছাত্রী এসে বন্ধ ঘরের সামনে একটি লাল-কালো চটি দেখেছিলেন। সেটি উদ্ধার হয়েছে। ওই ছাত্রীর দাবি, ঘর থেকে সুলোচনাদেবীর চিৎকার ও জিনিস টানা-হ্যাঁচড়ার শব্দও শোনা যায়। মঙ্গলবার ওই ফ্ল্যাটে আর এক দফা তল্লাশি হয়। রান্নাঘরে পিলার জাতীয় কোনও যন্ত্র মেলেনি। তদন্তকারীরা সুলোচনাদেবীর প্রাক্তন পরিচারিকার সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বছর খানেক আগে ওই বাড়িতে কাজ করতেন। |